জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: মমতা-মোদী মিটিং শেষে ইয়াস মোকাবিলায় বাংলার ভাগ্যে জুটল ১০০০ কোটির মধ্যে মাত্র ২৫০ কোটি। তিন রাজ্যের জন্য ১০০০ কোটি সাহায্য ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। শুক্রবার আকাশ পথে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা ঘুরে দেখেন। প্রথমে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি বাংলায় পা রাখেন। পাশাপাশি সব রকম সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি সঙ্গে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষখ দল ইয়াসে ক্ষয়ক্ষতির পর্যালোচনাও করবে বলে জানানো হয়েছে। এদিন কলাইকুন্ডায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইয়াস নিয়ে আলোচনায় বসার কথা ছিল। কিন্তু সেই আলোচনা দীর্ঘায়িত হয়নি।
আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি শুধু প্রধানমন্ত্রীকে রিপোর্ট জমা দেবেন ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে। তিনি কোনও আলোচনায় থাকবেন না। সেই মিটিংয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী থাকবেন বলেই তিনি না থাকার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একা সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন।
তার পর ঠিক হয় ১৫ মিনিটের জন্য একান্ত সাক্ষাৎ হবে কিন্তু তা ৫ মিনিটেই শেষ হয়ে যায়। তবে এই অল্প সময়ের সাক্ষাৎ হয় মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর তাতে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব দিয়ে মোট ২০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ দাবি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
After having review meetings in Hingalganj & Sagar, I met the Hon’ble PM in Kalaikunda & apprised him regarding the post-cyclone situation in WB. The disaster report has been handed over for his perusal. I’ve proceeded now to review the relief & restoration work at Digha.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) May 28, 2021
Took stock of the damage caused by Cyclone Yaas. Undertook an aerial survey across parts of Odisha and West Bengal. The entire nation stands in solidarity with those affected by the cyclone. https://t.co/kQFXnkypOm
— Narendra Modi (@narendramodi) May 28, 2021
তবে দাবি করলেও তা আদৌ পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ ছিলই। এবং সন্দেহই সত্যি হল। ইয়াস বিধ্বস্ত রাজ্যগুলির জন্য মোদী সরকার ১০০০ কোটি টাকার প্যাকেট ঘোষণা করলেও তার মধ্যে ৫০০ কোটি টাকা গেল বেশি ক্ষতিগ্রস্থ ওড়িশায়। বাকি ৫০০ কোটি ভাগাভাগি হবে ঝাড়খণ্ড ও বাংলার মধ্যে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক এড়িয়ে যাওয়া নিয়ে টুইট করে সমালোচনা করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনিও উপস্থিত ছিলেন কলাইকুন্ডার বৈঠকে। বৈঠক শুরুর আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর রিপোর্ট দিয়ে তাঁর থেকে অনুমতি নিয়েই কলাইকুন্ডা ছাড়েন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানান, তাঁর দীঘার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে বৈঠক রয়েছে তাই তিনি মিটিংয়ে থাকতে পারছেন না। মোদীকে স্থানীয় ক্ষয়ক্ষতির হিসেব দেন শুভেন্দু। শেষ পর্যন্ত দিল্লি ফিরে গিয়ে মোদী যা ঘোষণা করলেন তাতে বাংলার ভাগ্যে জুটল ২৫০ কোটি টাকা। বাকি কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দলের রিপোর্টের পরই সিদ্ধান্ত হবে বলে জানানো হয়েছে।
এর পর বিধ্বস্ত দীঘা পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তা নিয়ে দীর্ঘ বৈঠকও করেন। দ্রুত পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক করার চেষ্টায় রয়েছে রাজ্য সরকার। যাঁদের ঘর ভেঙে গিয়েছে তা খতিয়ে দেখে তাঁদের জন্য অনুদানও ঘোষণা করেছেন রাজ্য সরকার। বাঁধ তৈরি, ম্যনাগ্রোভ লাগানো নিয়ে আগেই বলছিলেন তিনি। এদিন আবার সে কথা মনে করিয়ে দেন তিনি। দীঘার ধ্বংস হয়ে যাওয়া মেরিনড্রাইভ নতুন করে তৈরির জন্য মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেন তিনি।
(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)