শহিদ ৪৪ সিআরপিএফ জওয়ান, হামলার দায় নিল জৈশ-ই-মহম্মদ

সাধারণ মানুষকে মেরে জঙ্গির তকমা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: শহিদ ৪৪ সিআরপিএফ জওয়ান,  উড়িয়ে দেওয়া হল বাহিনীর কনভয়ের গাড়ি। এত দিনের মধ্য ভয়ঙ্কর হামলার শিকার হল জম্মু-কাশ্মীর। আর বৃহস্পতিবারের সেই হামলায় মৃত্যু হল ৪৪ জন সিআরপিএফ জওয়ানের। মনে করা হচ্ছে, উরি হামলার পর এত বড় হামলা ভারতীয় সেনার উপর আর হয়নি। লাফিয়ে ‌‌লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। প্রথমে জানা গিয়েছিল ১৮, পরে তা বেড়ে এখনও পর্যন্ত ৪৪-এ দাঁড়িয়েছে। আহত আরও অনেকে। তাঁদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক।

জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার অবন্তীপুরায় এ দিন সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ)-এর কনভয়ে আক্রমণ  চালায় জঙ্গিরা। ৩৫০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক বোঝাই একটি মাহিন্দ্রা স্করপিও নিয়ে হামলা চালানো হয় বলে প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যে সময় হালমা চালানো হয় তখন শ্রীনগর-জম্মু হাইওয়ে দিয়ে ৭৮টি গাড়ির সিআরপিএফ কনভয়ে ২৫০০ জওয়ান যাচ্ছিলেন। সেই কনভয়ের মধ্যেই হঠাৎ করে ঢুকে পড়ে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি। বিস্ফোরণে উড়ে যায় সেনা বোঝাই গাড়ি। সূত্রের খবর আক্রমণের নেতৃত্বে থাকা আদিল আহমেদ দার গত বছরই জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদে দলের যোগ দেয়। কাকাপোরা অঞ্চলের বাসিন্দা ছিল এই আদিল।

শ্রীনগরে তুষারধসে নিখোঁজ ১০, প্রবল শিলাবৃষ্টি দিল্লি-নয়ডায়

জওয়ানদের এই কনভয় ছিল সিআরপিএফ-এর ৭৬ ব্যাটেলিয়নের। সেই বাসের গায়ের গুলির চিহ্ণও দেখা গিয়েছে। তাতে স্পষ্ট শুধু বিস্ফোরক নয় তার পরর আসপাস থেকে গুলিও চালানো হয় বাসের উপর। যারা গুলি চালিয়েছে তারা ওই এলাকাতেই লুকিয়ে ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।

সূত্রের খবর, ওই কনভয়ে ২৫০০ জওয়ান ছিলেন। সিনিয়র অফিসিয়ালরা ঘটনা স্থলে পৌঁছেছেন। তদন্ত শুরু হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরো অনেকের মৃত্যু হয়েছে। এই কনভন জম্মু থেকে গন্তব্যের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছিল বিকেল ৩.৩০ নাগাদ। গত দু’দিন ধরে শ্রীনগর-জম্মু হাইওয়ে বন্ধ ছিল খারাপ আবহাওয়ার জন্য। মনে করা হচ্ছে সেই সময় এলাকা। ঘাঁটি গাড়ে উগ্রপন্থীরা।

২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে সেনাবাহিনীর উরি সেক্টরের হেড কোয়ার্টারে সশস্ত্র জঙ্গিরা হামলা চালায় অতর্কিতে। সেই হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ১৯ জনের। তার পরই ভারতীয় আর্মি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে। তার পর ২০০১ সালের ১ অক্টোবর জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে অ্যাসেম্বলি কমপ্লেক্সের মূল গেটে আক্রমণে উগ্রপন্থীরা ছাড়া প্রায় ৩৮জনের মৃত্যু হয়েছিল।

(দেশের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)