দুঘর্টনাগ্রস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার হল ধ্বংসস্তুপ থেকে

দুঘর্টনাগ্রস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: দুঘর্টনাগ্রস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার হল, যেখান থেকে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যেতে পারে দুবাই থেকে কোঝিকোড়গামী বিমানের দুর্ঘটনার কারণ। শুক্রবার সন্ধে ৭.৪০ নাগাদ কোঝিকোড়ে অবতরণের সময় দুর্ঘটনার মুখে পড়ে বিমানটি। রানওয়ে থেকে গিয়ে পড়ে খাদে। সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হয় দুই বিমান চালকের। শুক্রবারই জানা যায় তখনও পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত বহু, ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ডিজিটাল ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার এবং ককপিট ভয়েস রেকর্ডারের সব তথ্য রেকর্ড থাকে ব্ল্যাক বক্সে। সেখানে বিমানের পরিস্থিতি, স্পিড, সিস্টেম স্ট্যাটাস সঙ্গে বিমান চালকদের মধ্যের কথোপকথনও রেকর্ড থাকে সেখানে। এখান থেকেই জানা যাবে ঠিক কী হয়েছিল বিমানটির সঙ্গে। ডিজিসিএ-র তরফে সম্পূর্ণ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এয়ার ইন‌্ডিয়া এক্সপ্রেস বিমান আইএক্স-১৩৪৪ দুবাই থেকে ভারতীয়দের উদ্ধার করে ফিরেছিল দেশে। কোভিড-১৯-এর কারণে বিভিন্ন দেশে আটকে রয়েছে বহু ভারতীয়। তাঁদেরই উদ্ধার করছে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বন্দে ভারত প্রকল্পের অধিনে। ঘরে ফেরা হলেও অনেকেরই আর পরিবারের লোকজনরে সঙ্গে দেখা হল না।

ডিজিসিএ-র দল শুক্রবার রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিল। শনিবার সেখানে যাচ্ছেন সিভিল এভিয়েশন মন্ত্রী হরদীপ সিং সুরী। পাহাড়ের মাথার উপর এই বিমানবন্দর হওয়ায় রানওয়ের শেষে জায়গা খুব কম থাকে। বিমানের নিয়ন্ত্রণ ঠিক না রাখতে পারলে তা খাদে গিয়ে পড়বে এটাই স্বাভাবিক। সমতলের বিমানবন্দরে তেমন হলেও এত বড় দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা কম।

তবে এও জানা যাচ্ছে কেরলে গত কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিতে রানওয়েও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। জানা যাচ্ছে বিশেষজ্ঞরা কোঝিকোড় বিমানবন্দরের রানওয়ের নিরাপত্তা নিয়ে ন’বছর আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাঁরা জানিয়েছিলেন, রানওয়ে খাড়া নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে যাতে নিরাপত্তা নেই কোনও। কিন্তু বিমানবন্দর নিরাপদ বলে কাজ চলছিল এতদিন। কিন্তু সেটা প্রমান করতে ১৮ জনের প্রান দিতে হল।

তবে এর বিরুদ্ধেও যুক্তি রয়েছে অনেক। অনেকেই বলছেন এত বছর ধরে হাজার বিমান নেমেছে এই রানওয়েতে। কোনও দুর্ঘটনা হয়নি। মনে করা হচ্ছে এই বিমান দুর্ঘটনা আরও ভয়াবহ হতে পারত যদি বিমানে আগুন লেগে যেত যা স্বাভাবিকভাবে হয়ে থাকে দুর্ঘটনার পর। কিন্তু প্রবল বৃষ্টি থাকায় তেমনটা হয়নি।

তার মধ্যেই সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধারকাজে হাত লাগায় উদ্ধারকারী দল ও স্থানীয় পুলিশ। ধ্বংসস্তুপ থেকে সবাইকে দ্রুত বের করে আনা হয়। সিটের তলা থেকে একা একটি শিশুকেও উদ্ধার করা হয়েছে। খোঁজ চলছে তাঁর পরিবারের লোকের।

চারজন বিমানযাত্রীর কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। উদ্ধারকারী দলে যাঁরা যাঁরা কাজ করেছেন তাঁদের সকলকেই সেলফ কোয়রান্টিনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

(দেশের আরও খবরের জন্য এখানে ক্লিক করুন)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)