জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে আগেই সাবধান করা হয়েছিল কেন্দ্রকেও। আর সেই দিনটি ছিল ২ এপ্রিল। যেদিন কেন্দ্রকে জানানো হয়েছিল মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে খারাপ জায়গায় যাবে। সোমবার রাতে এনডিটিভিকে এমনটাই জানিয়েছেন, কোভিড সুপার মডেল কমিটির শীর্ষকর্তা ও আইআইটি হায়দরাবাদের প্রফেসর ডঃ এম বিদ্যাসাগর। তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রকে সাবধান করা হয়েছিল, ১৫-২২-মের সময়ে নতুন কোভিড আক্রান্ত ১.২ লাখে পৌঁছে যেতে পারে। পরবর্তীতে সময় বদলে মে-র প্রথম সপ্তাহ বলা হয়।
ডঃ বিদ্যাসাগর বলেন, ‘‘সকলেই দেখতে পাচ্ছে ১৩ মার্চ থেকে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। কিন্তু সেই সময় আমাদের কাছে যথেষ্ট তথ্য ছিল না আগাম ধারণা করার। ২ এপ্রিল আমরা একটা ধারণা করি যে ১৫-২২ মে সময়ে দিনে ১.২ লাখ নতুন আক্রান্ত হবে।’’ ইতিমধ্যেই ভারতে প্রতিদিন সাড়ে তিনলাখের বেশি প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে। সেটা মাঝে চার লাখেও পৌঁছেছিল।
গত মাসে বিজ্ঞানীরা জানান, ৮ মে থেকে তা আরও বাড়বে। কাণপুর আইআইটি-র একটি গবেষণা বলছে ১৪-১৮-মে-র মধ্যে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা দিনে ৩৮-৪৪ লাখে পৌঁছে যাবে। আর এই সব একটা প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে, সত্যিই কেন্দ্র কিছু জানত না? তাহলে তার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? ডঃ বিদ্যাসাগর বলেন, কেন্দ্র বড় এবং মাঝারি পরিকল্পনাকে ছোট পরিকল্পনায় নিয়ে গিয়েছিল।
দিল্লি এবং দেশের বিভিন্ন রাজ্যের অক্সিজেনের অভাব সেটাই প্রমান করছে। রবিবার রাতে কর্ণাটকের হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার আগের দিন দিল্লিতে ১২ জন, তার আগে ২৫ জন। এর পর ধিরে ধিরে হিসেবটাই হারিয়ে যাবে কতজন অক্সিজেনের অভাবে মারা গিয়েছে।
দিল্লি হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট দেশের এই অক্সিজেন ঘাটতির জন্য কেন্দ্রকে একহাত নিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে যখন কেন্দ্রেরই তৈরি করা কমিটির তরফে সাবধানবাণী দেওয়া হয়েছিল তখন কেন্দ্র কেন কিছু করল না? আর তার পরও নির্বাচনী প্রচার, র্যালি, সভা, কুম্ভমেলা-র মতো সংক্রমণের রাস্তা আটকায়নি কেন্দ্র। যা এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে। অক্সিজেনের অভাব মেটাতে এগিয়ে এসেছে বাইরের দেশগুলিও।
(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)