ধাক্কা ডেরেক ও’ব্রায়ানকে, রাহুলের পর উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ধাক্কায় ধরাশায়ী ডেরেক

ধাক্কা ডেরেক ও’ব্রায়ানকে

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ধাক্কা ডেরেক ও’ব্রায়ানকে, আর তাতেই মাটিতে পড়ে গেলেন তৃণমূল সাংসদ। বৃহস্পতিবার যে পথে গিয়ে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ধাক্কায় ধরাশায়ী হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী সেই পথেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল তৃণমূলের ডেরেকর সঙ্গেও। দু’সপ্তাহ আগে উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে ২০ বছরের তরুণীকে ধর্ষণ এবং অত্যাচার চালানোর পর গত মঙ্গলবার তিনি দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার পর থেকেই শুরু হয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের নানা কর্মকাণ্ড।

তার পর থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা মৃতার বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিলেও সেখানে তাঁদের পৌঁছতে বাঁধা দেয় পুলিশ। এবং তা থেকেই বচসা, ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। তাতেই বৃহস্পতিবার আহত হন রাহুল। ৩২ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে সাদা শার্ট পরা একজন যাঁর মাথায় রয়েছে হেলমেট, তিনি তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল হাত ধরে তাঁকে গ্রামের দিকে যেতে বাঁধা দিচ্ছে।

তখনই তাঁকে বাঁধা দেন ডেরেক। এবং প্রতিমা মণ্ডলকে তাঁদের হাত থেকে রক্ষা করা চেষ্টা করেন। তাঁকে বাঁধা দিতে গিয়ে ধাক্কা দেওয়া হয় এবং তিনি পড়ে যান মাটিতে। তার আগেই পুলিশের কাছে হাতজোর করে তাঁদের যেতে দেওয়ার অনুরোধ করতে দেখা গিয়েছে টিএমসির নেতা, কর্মীদের। ডেরেক ও’ব্রায়ানকেও বলতে শোনা গিয়েছে, যেন শুধু মেয়েদের যেতে দেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশ শোনেনি।

দিল্লি থেকে ২০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে হাথরাসে ঢোকার আগে বাধা পায় প্রতিনিধি দল। গতকাল কংগ্রেস দলকে গ্রেটার নয়ডাতেই আটকে দেওয়া হয়েছিল। মৃতার বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার আগে যেখানে তাঁদের আটকানো হয়েছিল সেখানেই ধর্ণায় বসেন তৃণমূলের সাংদস ডেরেক ও’ব্রায়ানসহ বাকিরা।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর তাঁকে ধর্ষণ করে চারজন। ধর্ষণের পর অকথ্য অত্যাচার চালানো হয় তাঁর উপর।  খেতের মধ্যে থেকে তাঁর বাড়ির লোকেরা তাঁকে উদ্ধার করে। ২২ সেপ্টেম্বর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ৩০ সেপ্টেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবারের তরফে আবেদন ছিল বাড়িতে মেয়ের দেহ নিয়ে যাওয়া এবং সব নিয়ম মেনে সকালে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করার।

কিন্তু পুলিশ তা শোনেনি। তাঁকে রাতারাতি জ্বালিয়ে দেওয়া হয় গ্রামের মধ্যেই। মেয়েকে শেষ দেখাও দেখতে পেল না তাঁর পরিবার। এর পর হাসপাতালের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গেল ধর্ষণই হয়নি তাঁর। মেরুদণ্ডের আঘাতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তার পর থেকে মৃতার পরিবারকে মুখ বন্ধ রাখার জন্য ভয় দেখানো হচ্ছে। ঘরে বন্ধ করে তাঁদের ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

(দেশের সব খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)