হস্টেলেই গণধর্ষণ দশমশ্রেণির ছাত্রীর, ভয় দেখিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল মুখ

হস্টেলেই গণধর্ষণ

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: হস্টেলেই গণধর্ষণ হতে হল মেয়েটিকে। স্কুলেরই হস্টেলে থাকত বছর ষোলোর কিশোরীটি। আর সেই স্কুলের ভিতরেই তাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। শুধু তাই নয়, দেহরাদূনের ওই ধর্ষণের ঘটনায় ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। গোটা ঘটনায় পাঁচ জন স্কুলকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে দ্বাদশ শ্রেণির চার ছাত্রকে।

স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন রাতে অর্থাৎ গত ১৪ অগস্ট দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে হস্টেলের স্টোররুমে ডেকে পাঠায় চার সিনিয়র। তার পরেই তাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার মাসখানেক পর ওই ছাত্রী শারীরিক অসুস্থতা বোধ করায় তার দিদিকে ঘটনার কথা বলে। দিদি ওই স্কুলেই পড়ে।

বোনের সঙ্গে এমন হয়েছে শুনে প্রথমে দিদি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানায়। স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই ছাত্রীকে পানীয়ের সঙ্গে ওষুধ মিশিয়ে গর্ভপাতের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। এর পর ছাত্রীটি তার বাবা-মাকে ঘটনার কথা জানায়। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে দেহরাদূন উড়ে আসেন। পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়।

পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, স্কুল কর্তৃপক্ষ গোটা ঘটনাটা চেপে যেতে চেয়েছিলেন। সে কারণেই ওই ছাত্রীকে মুখ খুলতেও বারণ করেন তাঁরা। যদিও বিষয়টি চাপা থাকেনি। জানা যায়, ওই স্কুলের প্রশাসক এবং তাঁর স্ত্রী পানীয়ের সঙ্গে গর্ভপাতের ওষুধ খাইয়েছিলেন।

দেশের দু-প্রান্তে দুটো শ্লীলতাহানির ঘটনা

পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে ওই ছাত্রীকে। তার পর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির চার ছাত্রকে আটক করে তারা। ঘটনার কথা স্বীকারও করেছে ওই চার ছাত্র। পাশাপাশি স্কুলের পাঁচ আধিকারিক এবং কর্মীকেও  গ্রেফতার করে পুলিশ।

এর আগে গত সপ্তাহেই হরিয়ানায় এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়। ওই ছাত্রী সিবিএসই পরীক্ষায় কৃতী হিসাবে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে পুরস্কারও নিয়েছিলেন। ওই ঘটনায় এক সেনা কর্মীর নামও জড়িয়ে যায়। তবে, স্কুলের ভিতরে ছাত্রীকে সেখানকার ছাত্রীকে সিনিয়র ছাত্রদের ধর্ষণের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। দেহরাদূন প্রশাসন জানিয়েছে, এই ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উত্তরাঞ্চল পুলিশের ডিজি অশোক কুমার বলেন, ‘‘স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রথমে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চেয়েছিলেন। অভিযোগকারী ছাত্রিটি জানিয়েছে,  সে স্কুলে গোটা ঘটনার কথা জানায়। কিন্তু তারা মেয়েটির কথায় গুরুত্ব দিতে চায়নি। ঘটনার প্রায় এক মাস পর পুলিশ প্রথম বিষয়টি জানতে পারে। আমরি সব দিক খতিচয়ে দেখছি।’’