চিত্তরঞ্জন পার্ক কাণ্ড: গাড়ি পার্কিং নিয়ে প্রবল মার খেতে হল এক বাঙালি বাড়ির মালিককে

চিত্তরঞ্জন পার্ক কাণ্ডবাড়ির মালিক সুব্রত সিন্হা

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: চিত্তরঞ্জন পার্ক কাণ্ড দেখে স্তম্ভিত দিল্লির বাঙালি মহল। দিল্লির বাঙালিদের পীঠস্থান বলেই খ্যাত আর এই সিআর পার্কেই প্রবল মার খেতে হল এক বাঙালি বাড়ির মালিককে। ঘটনাটি ঘটে গত ২৬ মে ২০২০, রাত আটটা নাগাদ। সিআর পার্কের কে ব্লকে সুব্রত সিন্হার ফ্ল্যাটে গত বছর ধরে ভাড়া থাকেন সুব্রত বিশ্বাস। গত তিনমাস ধরে তিনি তাঁর বাড়ির সামনেই তাঁর গাড়িটি পার্ক করেন। কিন্তু মঙ্গলবার তিনি বাড়িতে ফিরে দেখেন তাঁর গাড়ি রাখার জায়গায় একটি পুরনো বাইক রাখা রয়েছে। এখানে বলে রাখা ভাল, দিল্লির বিভিন্ন অংশে এভাবেই বাড়ির সামনে রাস্তার উপরই গাড়ি পার্ক করা থাকে। বেশিরভাগ বাড়িরই নিজস্ব গ্যারাজ নেই।

তাঁর জায়গায় গাড়িটি পার্ক করা রয়েছে দেখে তিনি সেখানে একজনের কাছে জানতে চান বাইকটি কার। তিনি বলেন, সেই বাইকটি তাঁর মালিকের। উল্টোদিকের বাড়িতেই স্বপরিবারে থাকেন অনীল লাম্বা। তাঁর সঙ্গেই থাকেন তাঁর দুই ছেলেও। তাঁরা বেরিয়ে এলে সুব্রত বিশ্বাস তাঁদেরকে ভদ্রভাবেই বলেন, বাইকটি সরিয়ে নিতে। কিন্তু তাঁরা সেইবাইক না সরিয়ে বাড়ির মালিককে ডাকতে বলেন।

(দেশের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

বাড়ির মাল‌িক সুব্রত সিন্হা সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে ছুটে যান। তিনি গিয়েও লাম্বা ও তাঁর ছেলেদের একি কথা বলে এবং বাইকটি তাঁদের দিকে পার্ক করতে বলেন। কিন্তু তেমনটা না করে দুই ছেলে ও বাবা এই দু’জনকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি দিতে শুরু করেন। অপমান সহ্য না করে সুব্রতরাও পাল্টা বলেন, শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি।

দেখুন কী বলছেন আহত সুব্রত সিন্হা ও সঙ্গে দেখুন সেই দিনের সিসিটিভি ফুটেজ

সুব্রত সিন্হা (বাড়িওয়ালা)-র উপর চড়াও হন তিন জন। লোহার রড দিয়ে বেধরক মারা হয় তাঁকে রাস্তায় ফেলে। যার ছবি ধরা পড়েছে স্থানীয় সিসিটিভি ক্যামেরায়। লোহার রডের আঘাতে সুব্রতর মাথার পিছন ও চোখের উপর ফেটে যায়। সেই সময় স্থানীয়রা ছুটে এলে পালিয়ে টান এই তিনজন।

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

তখনই তাঁর ভাড়াটে তাঁকে সঙ্গে নিয়ে সিআর পার্ক থানায় যান। কিন্তু থানা থেকে বলা হয় আগে চিকিৎসা করিয়ে আসার জন্য। এর পর রিপোর্ট লেখনো হলেও দোষীরা এখনও অধরা। সুব্রত সিন্হার অভিযোগ সিআর পার্ক থানার পুলিশ দোষীদের ধরার জন্য কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি। এবং কখনও হুমকি আবার কখনও অভিযোগ তুলে নেওয়ার অনুরোধও আসতে থাকে।

সুব্রত সিন্হা বলেন, ‘‘আমি পড়ে জানতে পারি ওরা এরকম অন্যায় কাজ অনেকদিন ধরেই করে চলেছে এলাকায়। এবং সেটা আমি পুলিশের কাছে করা অভিযোগেও জানিয়েছি। ওরা আমার সঙ্গে মিটমাট করে ন‌িতে চাইছিল। কিন্তু এটা জানার পর আমি চাই ওদের শাস্তি হোক।’’

এই প্রসঙ্গে ডিসিপি (দক্ষিণ) অতুল ঠাকুরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।