চরণজিৎ সিংহ চন্নী পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন, সোমবারই শপথগ্রহণ

চরণজিৎ সিংহ চন্নীচরণজিৎ সিংহ চন্নী

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: চরণজিৎ সিংহ চন্নী পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন, সোমবারই শপথগ্রহণ। পঞ্জাবের দলিত রাজনীতির পরিচিত মুখ তিনি। এত দিন অমরেন্দ্র সিংয়ের মন্ত্রিসভায় কারিগরী শিক্ষা দফতরের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এ বার তিনি ক্যাপ্টেনের ছেড়ে যাওয়া পদে বসতে চলেছেন। পঞ্জাবের দায়িত্বে থাকা কংগ্রেস নেতা হরিশ রাওয়াত রবিবার বিকেলে ঘোষণা করেন, পঞ্জাবে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা হিসাবে চন্নীর নাম ঠিক করা হয়েছে।

শনিবার অমরেন্দ্র সিংহের পদত্যাগের পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হিসাবে একাধিক নাম উঠে আসছিল, সেই তালিকায় ছিলেন অম্বিকা সোনির মতো প্রবীণ কংগ্রেস নেতাও। শেষ পর্যন্ত উঠে আসে চরণজিতের নাম। চূড়ান্ত সিলমোহর দেয় পঞ্জাব কংগ্রেস। রবিবারই রাজভবনে যাওয়ার কথা রয়েছে চরণজিতের। পঞ্জাবের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সোমবারইই চরণজিৎ সিংহ চন্নী-র শপথ নেওয়ার কথা। কংগ্রেস বিধায়ক চরণজিৎ বেলা ১১টায় শপথ নিতে পারেন। বিধানসভা ভোটের কয়েক মাস আগে ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংয়ের জায়গায় দায়িত্ব নিতে চলা এই চরণজিৎ পঞ্জাবের প্রথম দলিত মুখ্যমন্ত্রী হবেন। সর্বোচ্চ এই পদ পাওয়ার আগে রাজ্যের টেকনিক্যাল এডুকেশন দফতরের মন্ত্রী ছিলেন ৫৮ বছরের এই বিধায়ক। তিনি চমকৌর সাহিব বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তিন বারের নির্বাচিত বিধায়ক।

এর আগে ২০১৫ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পঞ্জাব বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ছিলেন তিনি। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে তিনি ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংয়ের মন্ত্রিসভায় আসেন। ২০১৮ সালে এক মহিলা আইএএস অফিসারকে একটি আপত্তিকর টেক্সট পাঠানোর অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও ওই মহিলা কোনও অভিযোগ জানাননি। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন, বিষয়টি মিটে গেছে। যদিও চলতি বছরের মে মাসে পঞ্জাবের মহিলা কমিশন এই কেসে রাজ্য সরকারের জবাব চেয়ে নোটিস পাঠালে নতুন করে বিষয়টি সামনে আসে। আজ কিছু আগেই কংগ্রেসের তরফে পঞ্জাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান নেতা হরিশ রাওয়াত ট্যুইটারে লেখেন, এটা ঘোষণা করতে আমি সন্তোষ বোধ করছি যে সর্বসম্মত ভাবে পঞ্জাবের পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন চরণজিৎ।

বিধানসভা নির্বাচনের কয়েকমাস আগে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে আচমকাই সরে দাঁড়ান ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহ। গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত পঞ্জাবের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে রাহুল গাঁধীর বাসভবনে বৈঠক হয়। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল ও অম্বিকা সোনিও বৈঠকে হাজির ছিলেন। বৈঠকে সিধু, জাখড়, সুখবিন্দর সিংহ রান্ধওয়া সহ বেশ কয়েকটি নাম নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা যায়। সুনীল জাখড় এগিয়ে থাকলেও তাঁর নামে বেশ কয়েকজন বিধায়কের আপত্তি রয়েছে বলে জানা যায়।

এরই মধ্যে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধুকে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য বিবেচনা করা হলে তার তীব্র বিরোধিতা করেন অমরিন্দর। তিনি সিধুকে অদক্ষ ও জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক আখ্যা দিতেও ইতস্তত করেননি। এদিকে দলের অন্যতম শীর্ষ নেতৃত্ব অম্বিকা সোনিও পঞ্জাবের। তাই কংগ্রেস নেতৃত্ব আগামী বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত অম্বিকা সোনিই মুখ্যমন্ত্রী পদের দায়িত্ব গ্রহণ করুন, এমনই চেয়েছিল। কিন্তু, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হতে অস্বীকার করেন অম্বিকা। এর পর ভেসে আসে  সুখজিন্দর সিংহ রাণধওয়ার নাম। কিন্তু সূত্রের খবর, তাঁর নামে আপত্তি জানান দলীয় কয়েকজন বিধায়ক এবং কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। এর কিছু পরেই প্রকাশ্যে আসে পঞ্জাব কংগ্রেসের অন্যতম দলিত মুখ চরণজিতের নাম।

 

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)