হাথরস-কাণ্ডের তদন্তে সিবিআই, দেশ জুড়ে বিক্ষোভের মধ্যেই দায়িত্ব

হাথরস কাণ্ডে সিবিআই

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: হাথরস-কাণ্ডের তদন্তে সিবিআই, দেশ জুড়ে বিক্ষোভের মধ্যেই এই দায়িত্ব নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ওই সংস্থা। উত্তরপ্রদেশের হাথরস জেলায় ২০ বছরের এক দলিত তরুণীকে গণধর্ষণের পর খুনের অভিযোগ ওঠে। উচ্চবর্ণের কয়েক জন যুবক ওই অপরাধে যুক্ত বলে অভিযোগ। এই ঘটনার প্রতিবাদে গোটা দেশ উত্তাল। সেই আবহে হাথরস-কাণ্ডের তদন্তে সিবিআই দায়িত্ব নিচ্ছে।

হাথরস-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে গোটা দেশের পাশাপাশি ইলাহাবাদ হাইকোর্টও যোগী আদিত্যনাথের সরকারের সমালোচনা করে। প্রথমে এই প্রতিবাদকে রাজনৈতিক কৌশল বলে দাবি করে বিজেপি। কিন্তু দেশজোড়া বিক্ষোভ-প্রতিবাদের মধ্যে গত সপ্তাহেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ হাথরস-কাণ্ডের তদন্তে সিবিআই-এর সুপারিশ করেন। চাপের মুখে তিনি ওই সুপারিশ করতে বাধ্য হন বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।


দেশের সব খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন

উত্তরপ্রদেশ সরকার হাথরসের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর যে ভাবে সামলানোর চেষ্টা করেছে, তাতে অনেকেই গাফিলতি খুঁজে পেয়েছেন। যোগী-প্রশাসন প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে। এমনকি, ময়নাতদন্তের পর ওই তরুণীর দেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। রাতের অন্ধকারে তরুণীর দেহ দাহ করে দেওয়া হয়েছে নিভৃতে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পর্যন্ত পরিবারের হাতে দেওয়া হয়নি। পরিবারের সকলকে কার্যত বাড়িতে বন্দি করে রাখার অভিযোগ ওঠে।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর বছর উনিশের ওই তরুণীর উপর গ্রামের ভিতরেই নির্যাতন চালায় চার যুবক। ভয়াবহ জখম ওই তরুণী এর দু’সপ্তাহ পর মারা যান। বর্বরতার দিক থেকে এই ঘটনার সঙ্গে ২০১২ সালের নির্ভয়া-কাণ্ডের অনেক মিল রয়েছে। অভিযোগ নিয়ে গড়িমসির অভিযোগ ওঠে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে। এমনকি তারা দাবি করে, ‘ধর্ষণ করা হয়নি’। তরুণীর যোনিতে বীর্যের কোনও প্রমাণ মেলেনি বলেও দাবি করা হয়। যদিও একটা অংশের দাবি, ঘটনার ১১ দিন পর তরুণীর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।

পুলিশের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ ওঠে, উচ্চবর্ণের ঠাকুর সম্প্রদায়ের অভিযুক্তদের তারা আড়াল করার চেষ্টা করে। যে ১৯টি এফআইআর করা হয়, তার কোনওটিই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নয়, বরং অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে।

এ বার এই ঘটনার তদন্তভার সিবিআই নেওয়ায় নিরপেক্ষ তদন্ত হতে পারে, অপরাধীদের গ্রেফতার হওয়ার পাশাপাশি তাদের সাজা মেলারও সম্ভাবনা দেখছেন অনেকে। তবে এ সবের মধ্যেই কেউ কেউ বলছেন, রাজ্যেও বিজেপি, কেন্দ্রেও বিজেপি। রাজ্য প্রশাসন যদি এই মামলা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে, তা হলে কেন্দ্রের ‘তোতাপাখি’ সিবিআই কি অন্য চোখে দেখবে এই মামলাকে?


(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)