বুরারি কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ প্রিয়ঙ্কার প্রেমিককে

বুরারি কাণ্ডেবুরারির ভাটিয়া বাড়ির মৃত সদস্যরা।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বুরারি কাণ্ডে একই পরিবারের ১১ জনের একসঙ্গে আত্মহত্যার ঘটনায় ২০০ জনের বেশি মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ যদিও মেনে নিয়েছে এটা আত্মহত্যারই ঘটনা। তবুও পোস্টমর্টেম রিপোর্টের অপেক্ষায় দিল্লি পুলিশ। এবং এই পরিবারের ঘনিষ্টদের থেকে বিশদে এই ১১ জনের মানসিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইছে পুলিশ। কারণ, একই পরিবারের ১১ জনের আত্মহত্যার কয়েকদিন আগেই পরিবারের মেয়ের এনগেজমেন্ট হয়েছে ধুমধাম করে। সেই সময় এই বাড়িতে প্রচুর মানুষ এসেছিলেন। সেই সময় কোনও অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বা এই ১১ জনের মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকত্ব দেখা গিয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতে চাইছে পুলিশ। এই জিজ্ঞাসাবাদের তালিকায় রয়েছেন সদ্য এনগেজমেন্ট হওয়া পাত্রও।

পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট পাওয়ার পরই শুরু হবে সাইকোলজিক্যাল অটপসি। এই গন জেড়াটাই সাইকোলজিক্যাল অটপসির অংশ। জানা গিয়েছে ‘বধ তপস্যা’ করত এই পরিবার। বধ তপস্যা মানে বন্য গাছের মত আকাড় নেওয়া।

আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে ৩৩ বছরের প্রিয়ঙ্কা ভাটিয়ার সঙ্গে এনগেজমেন্ট হওয়া ব্য়াক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। যদিও এই পরিবার সম্পর্কে এমন ধারণা ছিল না বলেই জানিয়েছেন তিনি। ১১ জনের মধ্যে ১০ জনকে পাওয়া গিয়েছিল সিলিং থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ৭৭ বছরের নারায়ন দেবীর দেহ মেঝেতে পড়েছিল অন্য ঘরে। পরিবারের মেয়ে ৫৭ বছরের প্রতিভা, দুই ছেলে ৫০ বছরের ভবেশ ও ৪৫ বছরের ললিত, ভবেশের স্ত্রী ৪৮ বছরের সবিতা এবং তাঁদের তিন ছেলে-মেয়ে ২৩ বছরের মানেকা, ২৫ বছরের নীতু এবং ১৫ বছরের ধীরেন্দ্রকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। ললিত ভাটিয়ার স্ত্রী ৪২ বছরের টিনা ও তাঁদের ১৫ বছরের ছেলে দুষ্মন্তও রয়েছে এই তালিকায়। প্রতিভার মেয়ে প্রিয়ঙ্কা যাঁর এনগেজমেন্ট হয়েছিল। এই বছরের শেষেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।

প্রশ্ন উঠছে এই ৫১ নম্বরের পিছনের রহস্য ঘিরে

গত বুধবার পুলিশের হাতে কিছু সিসি টিভি ফুটেজ এসেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে পরিবারের কেউ কেউ টুল ও দড়ি নিয়ে ঢুকছে। এই দড়িই আত্মহত্যার সময় ব্যবহার করেছে পুরো পরিবার। পাওয়া গিয়েছে ১১টি ডাইরি যেখানে মনস্তত্বের অনেক কিছু সঙ্গে লেখা রয়েছে কী ভাবে ভবগবানের কাছে পৌঁছনো যায়। এর সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে ৫১টি সিম কার্ডের তথ্য। বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় ৫১ লেখা চিরকূট। সেই শব্দ ঘিরে সংশয় রয়েছে।

রাজস্থান থেকে আসা ভাটিয়া পরিবার দিল্লি গ্রসারি শপের সঙ্গে প্লাইউডের ব্যবসাও চালাত। গত দু’যুগ ধরে এখানেই রয়েছে এই পরিবার। প্রতিদিন সকাল ছ’টায় তাঁদের দোকান খুলত। কিন্তু সেদিন ৭.৩০ পর্যন্ত দোকান বন্ধ দেকে এক প্রতিবেশি তাঁদের বাড়িতে খোঁজ করত যান। সেখানে গিয়ে বাড়ির দরজা খোলা দেখে ভিতরে ঢুকে দেখেন পর পর ঝুলন্ত দেহ। তিনিই পুলিশকে খবর দেন।যদিও প্রতিবেশিরা জানিয়েছেন হাসিখুশি ছিল এই পরিবার। কখনও তাঁদের বাড়ি থেকে কোনও ঝগড়া তো দুরের কথা সামান্য কথা কাটাকাটিও হতে দেখা যায়নি। কারও সঙ্গে কোনও শত্রুতা ছিল না বলেই দাবি প্রতিবেশিদের।