গ্রেফতার সেনাবাহিনীর জওয়ান জিতেন্দ্র, বুলন্দশহর কাণ্ডে জেরা করা হচ্ছে তাঁকে

গ্রেফতার সেনাবাহিনীর জওয়ান জিতেন্দ্রজিতেন্দ্র মালিক

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: গ্রেফতার সেনাবাহিনীর জওয়ান জিতেন্দ্র । বুলন্দশহরে পুলিশ খুনে জেরা করা হচ্ছে তাঁকে। রবিবার তাঁকে বিচার বিভাগিয় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে পেশ করা হলে তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হল। সেনাবাহিনীর তরফেই জিতেন্দ্র মালিককে উত্তরপ্রদেশ স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের হাতে তুলে দেওয়া হয় শনিবার রাতে মিরাটে।

রবিবার সারাদিন ধরে জিতেন্দ্রকে জেরা করে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। সেখানে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমও ছিল। এর পর জিতেন্দ্রকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় পরীক্ষার জন্য। তার পর তাঁকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে পেশ করা হয়। সেখান থেকেই তাঁকে পাঠানো হয় জেলে।

৩ ডিসেম্বর বুলন্দশহরের গ্রামে প্রায় ৪০০ লোক হাজির হয়েছিল। গোহত্যা নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সেখান থেকেই। সেই সময় খবর যায় পুলিশে। পুলিশ অফিসার সুবোধ কুমার সেখানে পৌঁছন। তাঁর সঙ্গে তাঁর দল থাকলেও অত উত্তেজিত মানুষের সামনে তাঁদের কিছু করার ছিল না। কারণ পুলিশ দেখে উত্তেজনা আপও বেড়ে যায়। বিক্ষোভকারীদের ছোড়া পাথরে আহত হন তিনি।

বুলন্দশহরে পুলিশ অফিসার খুন, তদন্ত শুরু গোহত্যা নিয়ে!

সুবোধ কুমারের ড্রাইভার জানিয়েছিলেন, যখন আহত সুবোধকে নিয়ে তিনি বেরচ্ছেন তখন সেই গাড়ি ধরে ফেলে বিক্ষোভকারীরা। ভয়ে গাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান ড্রাইভার। তার পরই খুন হন পুলিশ অফিসার। বিক্ষোভকারীদের উত্তেজ্ত করার পিছনে এই সেনাবাহিনীর কর্মীর হাত রয়েছে বলে দেখা গিয়েছে একটি ছবিতে।

সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে এত দিন ধরে হইচই করা ঠিক নয়

এর জেরে বদলি করা হয়েছে রাজ্যের উচ্চ পদস্থ পুলিশ অফিসারদের। বদলি করা হয়েছে বুলন্দশহরের এসএসপিকেও। শুরু হয়েছে গভীরে তদন্ত। আরও বেশ কয়েকজনকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। যদিও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এটাকে একটা দূর্ঘটনা বলে ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।

সেদিন পুলিশ অফিসার ছাড়াও মৃত্যু হয়েছিল আরও একজনের। ২০ বছরের সেই যুবকেরও গায়ে গুলি লেগেছিল।