বিশিষ্টদের মাওযোগ নিয়ে মহারাষ্ট্র পুলিশকে তোপ বম্বে হাইকোর্টের

মহারাষ্ট্র পুলিশকে তোপ বম্বে হাইকোর্টেরমহারাষ্ট্র পুলিশকে তোপ বম্বে হাইকোর্টের

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: মহারাষ্ট্র পুলিশকে সোমবার তুলোধনা করল বম্বে হাইকোর্ট। ভীমা কোরেগাঁও হিংসা মামলায় অভিযুক্ত সমাজকর্মীদের মাওবাদী যোগ প্রমাণে সাংবাদিক বৈঠক করেছিল মহারাষ্ট্র পুলিশ। ওই বিষয়ে মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশ কী ভাবে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ খুলল এবং অভিযুক্ত সমাজকর্মীদের মাওবাদী যোগ প্রমাণের এই পদক্ষেপ করল, তা নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছে বম্বে হাইকোর্ট।

পুণের পুলিশ গত জুন মাসে গ্রেফতার করেছিল অধ্যাপক সোমা সেন, সমাজকর্মী রোনা উইলসনদের। তার পর ২৮ অগস্ট ভারাভারা রাও, সুধা ভরদ্বাজের মতো আরও ৫ বিশিষ্টজনকে গ্রেফতার করা হয়। কেন এই ধরপাকড়? এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়েই ৩১ অগস্ট মুম্বইয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন মহারাষ্ট্র পুলিশের এডিজি পরমবীর সিংহ। তিনি জানান, বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এই বিশিষ্টজনেরা যে ষড়যন্ত্র করছিলেন, তার জোরালো প্রমাণ আছে পুলিশের কাছে। কমরেড প্রকাশ নামের মাওবাদী নেতাকে লেখা একটি চিঠি সামনে এনে তিনি জানান, দু’দফায় ধৃত সমাজকর্মীরা পরস্পরের মধ্যে এই চিঠি চালাচালি করেছেন। গৃহবন্দি সুধা অবশ্য পরের দিনই ওই চিঠিকে ভুয়ো বলে জানিয়েছিলেন। ভারাভারার ভাইপো বেণুগোপাল পুলিশের ওই সাংবাদিক বৈঠককেই আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলেছিলেন।

এ দিন বম্বে হাইকোর্টে বিচারপতি এসএস শিন্ডে এবং বিচারপতি মৃদুলা ভটকরের ডিভিশন বেঞ্চও কাঠগড়ায় দাঁড় করায় মহারাষ্ট্র পুলিশকে। বিচারপতি ভটকর প্রশ্ন তোলেন, পুলিশ এটা কী ভাবে করল? যে চিঠিগুলি মামলার গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে পেশ করা যেত, তা আগেই কেন ফাঁস করে দেওয়া হল সংবাদমাধ্যমে? এটা ভুল। এ নিয়ে পুলিশের মত জানতে মহারাষ্ট্র পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান সরকারি কৌঁসুলি দীপক ঠাকরে। পুলিশ যে চিঠিগুলির কথা বলছে, তা পুণের আদালত কিংবা ফরিদাবাদের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পেশ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন সুধাও।

কর্নাটকে বিজেপিকে জোর ধাক্কা দিয়ে পুরভোটে ১ নম্বরে কংগ্রেস

জনৈক সতীশ গায়কোয়াড়ের একটি আবেদনের ভিত্তিতে এ দিন মামলার শুনানি চলছিল কোর্টে। নিজেকে ভীমা কোরেগাঁও হিংসার শিকার দাবি করে তিনি চান এই মামলার তদন্ত করুক এনআইএ। শুক্রবার আবেদন দায়ের করেছিলেন তিনি। পুণের পুলিশ রাজনৈতিক উদ্দেশে বিশিষ্টজনেদের শহুরে নকশাল তকমা দিয়ে ফাঁসাতে চাইছে বলেও সেখানে দাবি করেছেন সতীশ। তাই পুণের পুলিশকে অবিলম্বে এই তদন্ত থেকে সরানো হোক বলেও আর্জি পেশ করেছেন তিনি। সতীশের বক্তব্য, বিশিষ্টজনেদের বিরুদ্ধে যে হেতু ইউএপিএ-র ধারা আনা হয়েছে, তাই এ ক্ষেত্রে এনআইএ-তদন্তই হওয়া উচিত। সতীশের আবেদনের পরবর্তী শুনানি ৭ সেপ্টেম্বর।