বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় বেকসুর খালাস আডবাণী-জোশীরা

বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় বেকসুর খালাস

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় বেকসুর খালাস পেয়ে গেলেন লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলীমনোহর জোশীরা। ওই মামলার রায়ে বুধবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক সুরেন্দ্রকুমার যাদব ৩২ জন অভিযুক্তকেই বাবরি ভাঙার পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অভিযোগ থেকে রেহাই দিয়েছেন।

৬ ডিসেম্বর, ১৯৯২। বাবরি মসজিদ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার পর প্রায় ২৮ বছর কেটে গিয়েছে। ওই মামলার রায় শোনাল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। মোট ৪৯ জন অভিযুক্ত ছিলেন ওই মামলায়। তার মধ্যে অশোক সিঙ্ঘল, বাল ঠাকরের মতো ১৭ জন অভিযুক্ত আগেই প্রয়াত হয়েছেন। বাকি ৩২ জনের মধ্যে করোনার সময়ে বয়সজনিত কারণে আডবাণী, জোশী-সহ ছ’জন আদালতে হাজির ছিলেন না। সাক্ষী মহারাজ, সাধ্বী ঋতম্ভরা-সহ মোট ২৬ জন আদালতে হাজির ছিলেন। সকলকেই এ দিন বেকসুর খালাস করে দেন বিচারক।

বাবরি মসজিদ ধ্বংস: ৬ ডিসেম্বর ১৯৯২, মামলার রায়: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০

ওই মামলার প্রেক্ষিতে এ দিন ২,৩০০ পাতার রায় দেন সিবিআই আদালতের বিচারক। সেখানে তিনি বলেন, বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় বেকসুর খালাস করা হল তার কারণ, ওই ঘটনা কোনও ভাবেই পূর্ব-পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ছিল না। আচমকা করসেবকরা রাগ ও আবেগের বশে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে বাবরি মসজিদের গম্বুজের উপরে উঠে শাবল-গাঁইতি হাতে ভাঙচুর শুরু করেন। সমাজবিরোধী করসেবকেরা এ কাজ করেছিল। তাঁদের সঙ্গে রাম জন্মভূমি আন্দোলনের নেতাদের যোগসাজশের প্রমাণ মেলেনি।

এই রায়ের পর সিবিআই উচ্চ আলাদতে যাবে কি না তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি কেন্দ্রীয় ওই গোয়েন্দা সংস্থা। কংগ্রেস এই রায় শোনার পর জানিয়েছে, কেন্দ্রের উচিত উচ্চ আদালতে আপিল জানানো। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কি উচ্চা আদালতে যাবে কোনও পক্ষ, দিনের শেষে তা যদিও স্পষ্ট নয়।


(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)