অযোধ্যায় রাম মন্দির সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ১১ ডিসেম্বরের পর নেবেন মোদী, জানালেন ধর্মগুরু

অযোধ্যায় রাম মন্দিরঅযোধ্যায় রাম মন্দির কবে হবে? প্রশ্ন তুলে সরযূর পাড়ে শিবসেনা।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: অযোধ্যায় রাম মন্দির কবে হবে? এ প্রশ্নে উত্তাল সরযূ নদীর পাড়। গত দু’দিন ধরে উত্তরপ্রদেশের এই জায়গা রীতিমতো দুর্গের চেহারা নিয়েছে। আর তার মধ্যেই লক্ষাধিক ‘রাম ভক্ত’ হাজির হয়েছেন অযোধ্যায়।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং শিবসেনা মন্দির নির্মাণ নিয়ে অযোধায় দাঁড়িয়েই যখন কাঠগড়ায় তুলছে বিজেপিকে, তখন ময়দানে হাজির স্বামী রামভদ্রচার্য। জানালেন, মোদী সরকারের এক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়েছে গত শুক্রবার। তিনি রামভদ্রচার্যকে কথা দিয়েছেন, আগামী ১১ ডিসেম্বরের পর অযোধ্যায় রাম মন্দির নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে মোদী সরকার। এমনকি আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতও তাঁকে একই কথা জানিয়েছেন। এমনটাই দাবি রামভদ্রাচার্যের। কোন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন, তা যদিও প্রকাশ্যে আনেননি তিনি।

চিত্রকূটের একটি সংগঠনের ধর্মীয় গুরু রামভদ্রাচার্য। রবিবার তিনি অযোধ্যায় দাঁড়িয়ে বলেছেন, ওই মন্ত্রী তাঁকে ধৈর্য রাখতে বলেছেন। মন্ত্রিসভার সদস্যরা তাঁদের আবেগ বোঝেন। এবং সে কারণেই মন্ত্রিসভা আইন করে মন্দির নির্মাণের চেষ্টা করবে বলেও ওই সিনিয়র মন্ত্রী তাঁকে কথা দিয়েছেন বলেই দাবি রামভদ্রাচার্যের।

২৬/১১ পেরোলো ১০ বছর, কিন্তু রক্তাক্ত সেই মুম্বইয়ের হাতে শুধুই রাজনীতি-কূটনীতির পেন্সিল

এ দিন ধর্ম সংসদের ডাক দিয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছিল ১৯৯২ সালের পর এটিই সবচেয়ে বড় ধর্ম সংসদ। আগামী ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলার ২৬ বছর পূর্তি। তাঁর আগে গত দু’দিন ধরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং শিবসেনা সমর্থকদের জয়ধ্বনিতে কেঁপে উঠছে সরযূ নদীর পাড়। রামমন্দির নির্মাণের দাবিতে ওই দুই পক্ষের কারণে উত্তেজনায় ফুটছে অযোধ্যা। অযোধ্যায় জারি করা হয়েছে করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।

অযো্ধ্যার মাটিতে স্লোগান তিলেছে ওই দু’পক্ষ ‘আগে মন্দির, পরে সরকার’। ওই দাবিতেই ডাকা হয়েছে ধর্ম সংসদ। আর সেখান থেকেই মন্দির নির্মাণের আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিছদ। শনিবারই অযোধ্যায় পৌঁছন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। তিনিও অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য গলা ফাটাচ্ছেন।

এরই মধ্যে শনিবার রাতে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আগেই তিনি ঘোষমা করেছিলেন, সরযূ নদীর পাড়ে রামের একটি বিশাল মূর্তি গড়বে তাঁর সরকার। ওই বৈঠকে রামের সেই মূর্তির মডেলে অনুমোদন দিয়েছেন আদিত্যনাথ। সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই মূর্তি হবে প্রায় ১৫০ মিটার। নীচের অংশ এবং ছাউনি মিলিয়ে সবটার উচ্চতা হবে ২২১ মিটার। গুজরাতে সম্প্রতি যে বল্লভ ভাই পটেলের মূর্তি স্থাপিত হয়েছে, এই রামের মূর্তির উচ্চতা তাকেও ছাপিয়ে যাবে বলে যোগী সরকারের এক কর্তা জানিয়েছেন।