হরিয়ানা গণধর্ষণ কাণ্ডে জড়িত এক সেনা জওয়ান! অধরা তিন অভিযুক্তের ছবি প্রকাশ

হরিয়ানা গণধর্ষণহরিয়ানা গণধর্ষণ: গণধর্ষণে অভিযুক্ত পঙ্কজ, মণীশ ও নিশু-র ছবি প্রকাশ করল হরিয়ানা পুলিশ।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: হরিয়ানা গণধর্ষণ কাণ্ডে তিন দিন কেটে গেলেও শনিবার রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অভিযুক্তদের সন্ধান দিতে পারলে ১ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে এ দিন ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তিন অভিযুক্ত মণীশ, নিশু ও পঙ্কজের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে পঙ্কজ সেনাবাহিনীর জওয়ান বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গত বুধবার দুপুরে কোচিং ক্লাস থেকে পড়ে ফেরার পথে হরিয়ানার মহেন্দ্রগড় জেলার কানিনা বাস স্ট্যান্ড থেকে গ্রামেরই ওই তরুণীকে ওই তিন যুবক তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। তার পর ঝাজ্জরের কাছে একটি পরিত্যক্ত চাষের জমিতে নিয়ে গিয়ে আচ্ছন্ন করার কোনও ওষুধ মেশানো পানীয় জোর করে খাওয়ায়। পুলিশ সূত্রের খবর, ওষুধে অচৈতন্য হয়ে পড়লে শুরু হয় ধর্ষণ। প্রথমে ওই তিন জন। তার পর তাদের সঙ্গে যোগ দেয় চাষের জমিতে আগে থেকে থাকা আরও অনেকে। পরে বিকেল চারটে নাগাদ কানিনার সেই বাস স্ট্যান্ডে তাঁকে ফেলে রেখে যায় ওই তরুণরা। দশম শ্রেণিতে সিবিএসই-র কৃতী ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণের দু’দিন পরে শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে ঘটনাটি জানাজানি হতে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এ দিন পুলিশের একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়েছে।

হরিয়ানা পুলিশ প্রধান বিএস সান্ধু জানান, অভিযুক্তদের অন্যতম পঙ্কজ সেনাবাহিনীর রাজস্থান ইউনিটে রয়েছেন। তার খোঁজে পুলিশের একটি দল রাজস্থানে গিয়েছে। আজই অভিযুক্তদের ধরে ফেলা হবে বলে দাবি করেছেন সান্ধু। অন্য দিকে সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, সেনাবাহিনীর কোনও কর্মী যদি সত্যি এ ধরনের অপরাধে যুক্ত থাকে, তা হলে তার আইন অনুযায়ী শাস্তি হবে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে।

ত্রিলোচন মাহাতো খুনে গ্রেফতার পুরুলিয়ার তৃণমূল নেতা সৃষ্টিধর মাহাতোর ছেলে

অন্য দুই অভিযুক্ত মণীশ ও নিশুর ব্যাপারে কোনও খবর মেলেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ। দু’জনেই পলাতক। শনিবার ফের হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর বলেন, ‘‘অভিযুক্তরা শীঘ্রই ধরা পড়বে।’’ যদিও ঘটনার তিন দিন পরও কাউকে গ্রেফতার করতে না পারায়  হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন প্রতিবেশী দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল।

ওই দিন মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তাঁর মা-বাবা। চিকিৎসকেরা জানান, ধর্ষণ করা হয়েছে ওই কিশোরীকে। সঙ্গে সঙ্গে থানায় যান মেয়েটির বাড়ির লোকজন। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ, প্রথমে এফআইআর নিতে অস্বীকার করে থানা। পরে বাড়ির কাছে রেওয়াড়ী থানায় ‘জ়িরো এফআইআর’ দায়ের করা হয়। তরুণীর মা জানিয়েছিলেন, পাড়া থেকে হুমকি দেওয়া হয়, থানায় গেলে ভাল হবে না।