মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিল আমপান, বুধবার সন্ধায় আছড়াতে পারে দিঘায়

মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিল আমপানমারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিল আমপান

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিল আমপান, সোমবার বিকেলেই। আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের মতে, বুধবার সন্ধায় ওই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে এ রাজ্যের দিঘা এবং বাংলাদেশের হাতিয়ার মধ্যে কোনও জায়গায়।

কেন্দ্রীয় আবহবিজ্ঞান বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আছড়ে পড়ার সময় উপকূল এলাকায় ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঘূর্ণিঝড়। কিছু সময়ের জন্য তার গতিবেগ ১৫৫ কিলোমিটারও হতে পারে। উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া-সহ বৃষ্টি শুরু হতে পারে মঙ্গলবারেই। বুধবার গাঙ্গেয় বঙ্গের প্রায় সর্বত্র বৃষ্টি হবে। কোনও কোনও এলাকায় ভারী বৃষ্টি, কোথাও কোথাও অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। মৎস্যজীবীদের সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।


করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সব খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন

আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম ও মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপরে অবস্থান করছে আমপান। তার অভিমুখ এই মুহূর্তে উত্তর দিকে। সোমবার রাতের মধ্যে তা বাঁক নিয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে এগোতে শুরু করতে পারে। এই মুহূর্তে আমপানের দূরত্ব পারাদ্বীপ থেকে ৭৮০ কিলোমিটার। দিঘা থেকে ৯৩০ কিলোমিটার। বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ১০৫০ কিলোমিটার।

এই মুহূর্তে আমপানের অবস্থান… লাইভ

ইতিমধ্যেই বিপর্যয় মোকাবিলার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। উপকূলরক্ষী বাহিনীও প্রস্তুত। জলপথ ও আকাশপথে নজরদারি চলছে। মাইকে প্রচার চলছে দিঘা, রামনগর, মন্দারমণি-সহ উপকূলবর্তী এলাকায়। ৪৩টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, ৩০টি বন্যাত্রাণ কেন্দ্র এবং প্রতিটি কেন্দ্রের কাছাকাছি তিনটি স্কুলবাড়ি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যে সব বন্যাত্রাণ কেন্দ্রে নিভৃতবাসের ব্যবস্থা হয়েছে, সেগুলি বাদ দিয়ে অন্যত্র এই আয়োজন হচ্ছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের (এনডিআরএফ) ৩২ জন সদস্য এ দিন দিঘায় পৌঁছেছেন। অসামরিক প্রতিরক্ষার দল থাকছে দিঘা ও হলদিয়ায়। জেলার সব ব্লকে শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে।

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)