সর্বদলীয় বৈঠক থেকে পুলওয়ামা নিয়ে কেন্দ্রের পাশে থাকার বার্তা বিরোধীদের

সর্বদলীয় বৈঠক

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ জওয়ানদের কনভয়ে হামলার পরিপ্রেক্ষিতেই শনিবার ওই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সঙ্কটময় এমন মুহূর্তে সরকারের পাশে আছেই বিরোধীরা। এমন পরিস্থিতিতে সব রকম সহযোগিতা করতেও তারা প্রস্তুত। আগামী দিনে কেন্দ্রের পদক্ষেপকেও সমর্থন করা হবে বলেও জানাল বিরোধীরা। নিহত জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ওই হামলার কড়া নিন্দা করেছে সবাই।

কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া থেকে তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সিপিআইয়ের ডি রাজা, ন্যাশনাল কনফারেন্স-এর ফারুক আবদুল্লা, শিবসেনার সঞ্জয় রাউত, এলজেপি সুপ্রিমো রাম বিলাস পাসোয়ান এবং সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর— সকলেই উপস্থিত ছিলেন এ দিনের সর্বদলীয় বৈঠকে। সেই বৈঠকে ঠিক হয়েছে, সীমান্তে সন্ত্রাস রুখতে এবং দেশের অখণ্ডতা ও ঐক্য রক্ষা করতে নিরাপত্তাবাহিনীর পাশে দাঁড়ানোটাই এখন প্রধান কাজ।

বৈঠকে যে প্রস্তাব উঠে আসে তাতে বলা হয়েছে, সব দল এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে। এই শোকের মুহূর্তে গোটা দেশ ওই পরিবারগুলোর পাশে রয়েছে। সন্ত্রাসবাদ খতম করতে কংগ্রেস তাদের পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে কেন্দ্রকে। কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ পরে সংবাদমাধ্যমে জানান, দেশ এবং সেনার নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁরা সরকারের পাশে আছেন। কাশ্মীর হোক বা দেশের অন্য যে কোনও প্রান্ত, সন্ত্রাসবাদকে নিশ্চিহ্ন করতে কংগ্রেস তাদের পূর্ণ সমর্থন দেবে সরকারকে, এ কথাও জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির বৈঠকের পর উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসির সভা থেকে নাম না করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, প্রতিবেশী দেশকে এর মূল্য চোকাতেই হবে। সেই সঙ্গে এ-ও বলেছিলেন, কবে, কখন, কী ভাবে প্রত্যাঘাত, সেটা সেনাবাহিনী ঠিক করুক। অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ দিনও সর্বদল বৈঠকে বার বার উঠে এল সেই সীমান্ত সন্ত্রাসের কথাই। সন্ত্রাসবাদকে খতম করতে সব দলই সরকারের পাশে রয়েছে বলে জানিয়েছে।

এ দিনও একই সুর শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে। তিনি বলেন, “যে জঙ্গিগোষ্ঠী এই হামলা চালিয়েছে তারা যতই নিজেদের লুকোনোর চেষ্টা করুক না কেন, শাস্তি তাদের পেতেই হবে। সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। তারাই ঠিক করবে কখন, কোথায়, কী ভাবে প্রত্যাঘাত করা হবে।”

(দেশের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)