জম্মু-কাশ্মীর যোগাযোগহীন, সোপিয়ানে ডোভাল, পাকিস্তান বহিষ্কার করল ভারতীয় হাইকমিশনারকে

জম্মু-কাশ্মীর যোগাযোগহীনশোপিয়ানের রাস্তায় অজিত ডোভাল

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীর যোগাযোগহীন, কিন্তু কেমন আছে? বহির্জগতের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারেই বিচ্ছিন্ন বলে উপত্যকার খবর সেই ভাবে এখ‌নও আসছে না। ইন্টারনেট, মোবাইল, এমনকি ল্যান্ডলাইনও কার্যত বন্ধ। ফলে গত এক সপ্তাহ ধরে কাশ্মীরের সঙ্গে বাকি দেশের যোগাযোগ প্রায় নেই বললেই চলে। এ সবের মধ্যেই শ্রীনগর থেকে বিভিন্ন সূত্রে সংবাদমাধ্যমগুলোর কাছে খবর অশান্তির খবর এসেছে। বিক্ষোভ, প্রতিবাদ মিছিলের পাশাপাশি সেনা-আধা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষের খবরও পাওয়া গিয়েছে। আহত অনেকেই। হাসপাতালেও ভর্তি তাঁদের একটা বড় অংশ। গ্রেফতার করা হয়েছে শ’পাঁচেক মা‌নুষকে।

তবে এ সব ছবি প্রকাশ্যে আসেনি। যে ছবি বুধবার বিকেলে টিভির পর্দায় ভেসে উঠল, তাতে দেখা যাচ্ছে ‘স্বাভাবিক’ কাশ্মীর। নিস্তব্ধ। সুনসান। দোকানপাট বন্ধ। গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে আধাসামরিক বাহিনী। একটা ছোট্ট জটলা। সেখানে দাঁড়িয়ে ওই ভিড়ের সঙ্গে কথা বলছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। এটা শোপিয়ানের ছবি। স্থানীয় ওই মানুষদের সঙ্গে ডোভালকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে বসে খেতেও দেখা যায়।

সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ

এর মধ্যেই পালপোরা থেকে খবর এসেছে, ক্রিকেট খেলে বাড়ি ফেরতা এক ঝাঁক কিশোরকে তাড়া করে নিরাপত্তা বাহিনী। ওই কিশোররা দৌড়ে ঝিলম নদীতে ঝাঁপ দেয়। কিন্তু, সাঁতার না জানার কারণে এক কিশোরের জলে ডুবে মৃত্যু হয়। এটা যদিও সোমবাবের ঘটনা। এ নিয়েও বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

তবে আধাসেনা গোটা কাশ্মীরের দখল নিলেও মোদী সরকারের চিন্তা যাচ্ছে না। কারণ আগামী সোমবার ঈদ। উপত্যকা জুড়ে যে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তা না তুলে নিলে উৎসবের মরসুম পালিত হবে কী ভাবে? একই সঙ্গে তার তিন দিন পরে স্বাধীনতা দিবস। সেই সময়েও কী ভাবে সামলানো হবে উপত্যকা? এ সব নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।

রাজ্যের তকমা হারিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর

কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়া এবং রাজ্য ভেঙে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার সিদ্ধান্তের পর ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার অজয় বিসারিয়াকে বহিষ্কার করেছে পাকিস্তান। এর ফলে ভারত-পাক কূটনৈতিক সম্পর্ক কার্যত ছিন্ন। পাশাপাশি কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপুঞ্জে সরব হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। পাশাপাশি মার্কিন বিদেশ দফতরও জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের কথা তাদের আদৌ জানায়নি নরেন্দ্র মোদী সরকার। লাদাখ আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ায় ক্ষুব্ধ চিনও। তবে চিনের ক্ষোভকে আমল দিতে রাজি নয় দিল্লি।

কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার আলোচনার জন্য জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক করেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বৈঠক করেন পাক সেনার কোর কমান্ডারেরা। বৈঠকের পরে পাক সরকারের তরফে জানানো হয়, কাশ্মীর পরিস্থিতির জেরে কয়েকটি পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। কী সেই সিদ্ধান্ত? ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগ কমাবে পাকিস্তান। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বন্ধ করা হবে। কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপুঞ্জে সওয়াল করা হবে।

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)