পরকীয়া আর ফৌজদারী অপরাধ নয়, বিবাহিতা মহিলা তাঁর স্বামীর প্রভু নন: সুপ্রিম কোর্ট

পরকীয়া আর ফৌজদারী অপরাধ নয়পরকীয়া আর ফৌজদারী অপরাধ নয়

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: পরকীয়া আর ফৌজদারী অপরাধ নয় বলে রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, ভারতীয় দণ্ডবিধির ইংরেজ আমলে তৈরি হওয়া ৪৯৭ ধারা অসাংবিধানিক।

ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারা খারিজ করার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল। ১৫৮ বছরের পুরনো এই আইনটিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন এক অনাবাসী ভারতীয় জোসেফ শাইন। এ দিন সেই মামলারই রায় শোনাল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের এক সাংবিধানিক বেঞ্চ।

কী রয়েছে ওই ৪৯৭ ধারায়? ওই ধারায় বলা হয়েছে, কোনও পুরুষ যদি কোনও বিবাহিতা মহিলার সঙ্গে, তাঁর স্বামীর অনুমতি ছাড়াই, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত হন, তা হলে তিনি দণ্ডনীয় অপরাধ করবেন। পরকীয়া সম্পর্কে জড়ানো মহিলার জন্য অবশ্য কোনও সাজার কথা দণ্ডবিধির এই ধারায় উল্লিখিত নেই। ওই আইনটিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন অনাবাসী ভারতীয় জোসেফ। আদালতে তিনি জানিয়েছিলেন, এই আইনে পুরুষদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে। যেখানে দু’জন সহমত হওয়ার পরেই যৌন সম্পর্ক তৈরি হয়, তখন কেন শুধু পুরুষকে দণ্ডিত করা হবে?

তিনি আদালতে জানিয়েছিলেন, ওই আইন সংবিধান বিরোধীও বটে। কারণ সংবিধানেই বলা হয়েছে, আইনের চোখে সব ধর্ম, বর্ণ, জাত এবং লিঙ্গের মানুষ সমান, ধর্ম, বর্ণ, জাত, লিঙ্গ এবং জন্মস্থানের নিরিখে রাষ্ট্র কোনও বৈষম্যমূলক আচরণ করতে পারে না এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকারের কথা। ওই আইনটি তার উল্টো। ওই আইন নারী বিরোধীও। কারণ স্বামীর অনুমতি ছাড়া পরকীয়া দণ্ডনীয় অপরাধ বললে মেয়েদের আসলে পুরুষের সম্পত্তি ভাবা হয়।

আধার কোন কোন ক্ষেত্রে প্রয়োজন তা বুধবার নির্দিষ্ট করে দিল সুপ্রিম কোর্ট

এ দিন সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, কোনও মহিলার স্বামী তাঁর মালিক হতে পারেন না। কোনও নারী কখনওই তাঁর স্বামী বা অন্য কারও সম্পত্তি হতে পারেন না বলেও সাংবিধানিক বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র ছাড়াও ওই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি রোহিংটন ফলি নরিম্যান, বিচারপতি এ এম খানউলকর, বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি ইন্দু মলহোত্র। রায় শোনানোর সময় বিচারপতি দীপক মিশ্র জানান, আধুনিক সমাজে কোনও সিস্টেম অথবা আইন যদি কোনও মহিলার ব্যক্তিগত সম্ভ্রমকে প্রভাবিত করে, সেটা সংবিধানের উপর ক্ষোভ বাড়ায়। তিনি আ