ভারতে অ্যাক্টিভ করোনাভাইরাস কেস নিয়ে চিন্তায় কেন্দ্র সরকার

Florona

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ভারতে অ্যাক্টিভ করোনাভাইরাস কেস ২৪ ঘন্টায় ৪,৪২১ পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে – তিন শতাংশ বেড়ে – ১৭ দিনের মধ্যে প্রথমবারের জন্য ১.৫ লক্ষ্যের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে যা নভেম্বরের শেষের পর থেকে সবচেয়ে দ্রুত গতিআগের তুলনায় ৩.৮৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

এটি টানা পঞ্চম দিন যেখানে সক্রিয় আক্রান্ত (নতুন কেস এবং সুস্থতার মধ্যে পার্থক্যের হিসেবে) বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময়কালে ১৩,৫০৬টি নতুন কেস সামনে এসেছে। দু’সপ্তাহ সপ্তাহ আগে সক্রিয় কেস বেড়েছিল ১.৫ শতাংশ হারে যা এই সপ্তাহে দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। সক্রিয় কেস বেড়েছে ২.৯ শতাংশ হারে।

প্রতিদিন নতুন নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। ১৬ ফেব্রুয়ারির সর্বনিম্ন ৯,১২১ থেকে আজ ১৪,১৯৯-এ দাঁড়িয়েছে, সাত দিনে গড়ে ১৩.৮ শতাংশ বেড়েছে। দেশের নিরিখে যে ভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে মূলত রয়েছে পাঁচটি রাজ্য। মহারাষ্ট্র, কেরল, পঞ্জাব, ছত্তিসগড় এবং মধ্য প্রদেশে প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। যার প্রভাব স্বাভাবিকভাবেই পড়ছে দেশের করোনা আক্রান্তের হিসেবের উপর।

কেন্দ্রের তরফে এই পাঁচ রাজ্যকে সতর্ক করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, এর ফলে যাতে কোভিডের উপর যে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব হয়েছিল তা যেন ভেঙে না যায়। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে রাজ্যগুলোকে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, “৭৪ শতাংশেরও বেশি সক্রিয় রোগী রয়েছে কেরালা ও মহারাষ্ট্রে। ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশেও এর প্রবণতা বেড়েছে। পঞ্জাব এবং জম্মু ও কাশ্মীরে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।” সব থেকে ক্ষতিগ্রস্থ রাজ্য মহারাষ্ট্র। সাত দিনের হিসেবে গড়ে ৫,২৩০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ২ ডিসেম্বর,৫,৫৭৬-এর পর এটিই সব থেকে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা। সোমবার সকালে জানা গিয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬,৯৭১ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। ২৪ অক্টোবরের পর এটিই সবোর্চ্চ, যা ছিল ৭,৩৪৭।

দ্বিতীয় সব থেকে ক্ষতিগ্রস্থ রাজ্য কেরালা, সাত দিনের নতুন আক্রান্তের গড়  ছিল ৪,৩৬১ এবং চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে ৪,০৭০ টি নতুন কেস সামনে এসেছে। পঞ্জাবে সাপ্তাহিক আক্রান্তের হার ১.৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ১.৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, আর গত চার সপ্তাহে সাপ্তাহিক ক্ষেত্রে বেড়েছে ১,৩০০ থেকে ১,৬৮২ হয়েছে।

ভারত গত মাসে তার টিকা অভিযান শুরু করেছিল এবং প্রায় ১.০৭ কোটি মানুষ কমপক্ষে একটি শট পেয়েছেন (প্রয়োজনীয় দুটির মধ্যে)। এখনও পর্যন্ত যে টিকা দেওয়া হয়েছে তাঁরা হেলথ কেয়ার এবং ফ্রন্টলাইন কর্মী।

(আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)