ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তার আগেই বিমান বন্দরে বোমাতঙ্ক

ত্রিপুরায় অভিষেক

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছনোর আগেই আগরতলা বিমান বন্দরে একটি পরিত্যক্ত ব্যাগকে ঘিরে তৈরি হয় বোমাতঙ্ক। ডাকা হয় বম্ব স্কোয়াডকেও, সিআইএসএফও। তবে সেই ব্যাগে কিছুই তেমন পাওয়া যায়নি। বিমান বন্দরে নেমেপাল্টা আক্রমণকরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, ভয় দেখানোর জন্যই এ সব করছে। এবং এভাবে তৃণমূলকে ভয় দেখানো যাবে না। সোমবার সকাল ৯.৩০ নাগাদ আগরতলার উদ্দেশে রওনা হন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি যখন মাঝ আকাশে তখন আগরতলা বিমান বন্দরে অভিষেকের কনভয়ের সামনে দেখা যায় এই কালো ব্যাগ। প্রাথমিকভাবে তা ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

শুরু হয় তল্লাশি। তার মধ্যে ১০.১৫ নাগাদ আগরতলায় পৌঁছন অভিষেক। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘বিমান বন্দরে ব্যাগ ঘিরে যে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছে, তা দিয়ে তৃণমূলকে ভয় দেখিয়ে আটকানো যাবে না।’’ এখানেই থামেননি তিনি বরং আরওবড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে শত্রুতা থাকলে আমার গাড়ি বোম মেরে উড়িয়ে দিন। কিন্তু বিমান বন্দরে এমন ঘটনা ঘটিয়ে সাধারণ মানুষের উপর কেন রাগ দেখানো হচ্ছে?’’ দুই সাংবাদিককে আটক করা নিয়েই তোপ দেগেছেন তিনি।

শনিবার থেকেই উত্তপ্ত ত্রিপুরা। সেদিন থেকেই নতুন করে আবার সে রাজ্যে পা রাখতে শুরু করেছেন তৃণমূলের নেতারা। শনিবার সেখানে পৌঁছেছিলেন সায়নী ঘোষ। রবিবার ‘খেলা হবে’ স্লোগান নিয়ে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ ওঠে সায়নীর বিরুদ্ধে। এদিকে সায়নীর সঙ্গে থাকা তৃণমূলের এক অংশের দাবি ফেরার পথে যখন তাঁদের গাড়ি যানজটে আটকে যায় তখন সায়নীকে দেখে বাইরে থেকে ‘খেলা হবে’ স্লোগান ওঠে। তা শুনে গাড়ির ভিতর থেকে সকলেই একই স্লোগান দেন। এর পর সায়নীর হোটেলে হানা দেয় পুলিশ। তাঁকে আটক করা হয়। পরে গ্রেফতারও হন তিনি। অভিযোগ তিনি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী উদ্দেশে খারাপ মন্তব্য করেছেন, গাড়ি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন-সহ একগুচ্ছ অভিযোগ করা আনা হয়েছে।

এদিকে ত্রিপুরা ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল। সেখানে সেই মামলাটি গৃহিত হয়েছে এবং শুনানি মঙ্গলবার বলে জানানো হয়েছে। বিভি্ন্ন বিষয় নিয়েই এই অভিযোগ করা হয়েছিল। তার মধ্যে ছিল, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলে অনুমতি না দেওয়া, তৃণমূলকে বাধা দেওয়া এং ত্রিপুরার আইন-শৃঙ্খলার অবনতি—সব নিয়েই মামলা করা হয়েছিল।  রবিবারও দফায় দফায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ত্রিপুরায় বিভিন্ন অঞ্চল। এর পর সোমবারই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র সাক্ষাতের সময় চাওয়া হলেও তিনি তা না দেওয়ায় তাঁর দফতরের সামনেও শুরু হয় বিক্ষোভ কর্মসূচি।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)