অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডির জেরা চলল টানা ৯ ঘণ্টা

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডির জেরা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডির জেরা শেষে বিস্ফোরক তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। কয়লা কাণ্ডে ইডির তলবের জেরেই দিল্লি পৌঁছেছিলেন তিনি। সেখানেই সোমবার তাঁকে জেরা করেন এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্টের অফিসাররা। সেই জেরা চলে ৯ ঘণ্টা। তবে তার পরও দমে যাননি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইডির জেরা শেষে বেরিয়েই বিজেপিকে হুশিয়ারী দিতে ভোলেননি তিনি। আর রীতিমতো বিজেপি উৎখাতের ডাক দিয়ে দিলেন দিল্লির মঞ্চ থেকে। জেরা শেষে বেরিয়ে তিনি জানিয়ে দেন, ‘‘সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি, যা করার করে নিন। আমি মাথা নোয়াবো না, মেরুদন্ডও বিক্রি করব না।’’

সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ তিনি ইডির দফতরে পৌঁছন। সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন রাত ৮টায়। ম্যারাথন জেরার পর তাঁকে একটুও ক্লান্ত দেখায়নি। বরং আরও বেশি উদ্যমী লেগেছে তাঁকে। যেন ইডির দফতর থেকেই সেই বাড়তি উদ্যমটা নিয়ে বেরিয়েছেন তিনি। বেরিয়েই তাই বড় শত্রু বিজেপিকেই সাবধানবানী শুনিয়ে দিলেন। প্রথম থেওকেই এটিকে প্রতিহিংসার রাজনীতি বলে আখ্যা দিয়েছে তৃণমূল।

এদিকে, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সাফল্যের পর বিজেপি শাসিত রাজ্যকেই টার্গেট করেছে তৃণমূল। তার মধ্যে অন্যতম ত্রিপুরা। যেখানে বার বার তৃণমূলের পদক্ষেপে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। সেই লক্ষ্যকেই আরও একবারে দিল্লির মঞ্চ থেকে সোচ্চারে বলে দিলেন অভিষেক। তিনি জানিয়ে দেন, দেশ থেকে বিজেপিকে উৎখাত করবেন তাঁরাই। যে যে রাজ্যে বিজেপি রয়েছে সেখানেই যাবে তৃণমূল এবং সেখানে বিজেপিকে হারাবে। শুনে নিন কী বলছেন অভিষেক—

এর আগে কয়লা কাণ্ডে অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে তলব করা হলেও তিনি যাননি কোভিড পরিস্থিতি ও ছোট বাচ্চার কারণে। তার পরই অভিষেককে ডাকা হয়। ৬ সেপ্টেম্বর তাঁর হাজিরার দিন থাকায় একদিন আগেই তিনি সেখানে পৌঁছে যান। তিনি তদন্তে সব রকম সাহায্য করবেন বলেও জানিয়েছেন। তবে দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগে অভিযোগ করে গিয়েছিলেন, পুরোটাই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। এবং তিনি জোড় গলায় দাবি করেন, যদি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। তাঁর এই আত্মবিশ্বাসই এখন তৃণমূলের বড় অস্ত্র।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)