ট্রেন বেলাইন হয়ে মৃত্যু পাঁচ জনের, ফরাক্কা থেকে দিল্লি যাওয়ার পথে

ট্রেন বেলাইনট্রেন বেলাইন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ট্রেন বেলাইন হয়ে গেল ফের। এ বার উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলীতে বেলাইন হয়ে গেল দিল্লিগামী নিউ ফরাক্কা এক্সপ্রেস। এই ঘটনায় মারা গিয়েছেন দুই শিশু-সহ পাঁচ জন। আহত অন্তত ৩০। তাঁদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। মৃতেরা প্রত্যেকেই বিহারের বাসিন্দা।

বুধবার সকাল সওয়া ৬টা নাগাদ রায়বরেলীর হরচাঁদপুরের কাছেই ওই ট্রেন বেলাইন হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই লখনউ এবং বারাণসী থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ)-এর দু’টি দল। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় উদ্ধারকাজ। হরচাঁদপুর স্টেশন ছেড়ে নিউ ফরাক্কা এক্সপ্রেস প্রায় ৫০ মিটার এগোতেই বেলাইন হয়ে যায় ইঞ্জিন-সহ মোট ৯টি কামরা। আহতদের সঙ্গে সঙ্গেই হরচাঁদপুরের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। উল্টে পড়া কামরাগুলিতে অনেক যাত্রীই আটকে ছিলেন। তাঁদের পরে উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চিকিৎসকদের একটি দল। দুর্ঘটনার কবলে পড়া ট্রেনের বাকি যাত্রীদের লখনউ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। রাজ্য প্রশাসনের তরফে ৬টি বাসের ব্যবস্থা করা হয়। সেই বাসে করে প্রায় ৩০০ যাত্রীকে লখনউ স্টেশনে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হয়। সেখান থেকে বিশেষ ট্রেনে তাঁদের দিল্লি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।

দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রায়বরেলীর জেলাশাসক, পুলিস সুপার এবং মহকুমাশাসক-সহ রেলের উচ্চপদস্থ কর্তারা। দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান অশ্বিনী লোহানি-সহ রেলের পদস্থ কর্তারা। দুর্ঘটনার কারণে মাঝপথেই আপ ও ডাউন লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ে বেশ কয়েকটি ট্রেন। কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে রেল। দুর্ঘটনার প্রাথমিক কারণ হিসেবে সিগন্যাল সমস্যা এবং কুয়াশার কারণকে তুলে ধরা হচ্ছে। এ দিন দুর্ঘটনার খবর পেয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। তিনি রেলের অফিসারদের দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দেন।

তিতলি আসছে ধেয়ে, বৃহস্পতিবার আছড়ে পড়বে ওড়িশা-অন্ধ্র উপকূলে, এ রাজ্যেও বৃষ্টি

উদ্বেগ প্রকাশ করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি রাজ্য প্রশাসনকে যথেষ্ট তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকাজের নির্দেশ দেন। রাজ্যের তরফে মৃতদের পরিবার পিছু দু’লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণাও করেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

রেলের তরফে বেশ কয়েকটি হেল্পলাইনও খোলা হয়।
দীনদয়াল উপাধ্যায় জংশন (মুগলসরাই): বিএসএনএল ০৫৪১২-২৫৪১৪৫ এবং রেল ০২৭-৭৩৬৭৭
পটনা স্টেশন: বিএসএনএল ০৬১২-২২০২২৯০, ০৬১২-২২০২২৯১, ০৬১২-২২০২২৯ এবং রেল ০২৫-৮৩২৮৮।