২১ দিনের জন্য লকডাউন গোটা দেশে, করোনা ঠেকাতে মোদীর দাওয়াই চলবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত

কোভিডের তৃতীয় ঢেউ

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ২১ দিনের জন্য লকডাউন গোটা দেশে, মঙ্গলবার রাত ৮টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে এমন নির্দেশই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানিয়েছেন, ওই লকডাউন এ দিন মাঝরাত থেকে চলবে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। করোনা রুখতে সামাজিক দূরত্ব এই মুহূর্তে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আর সেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতেই প্রধানমন্ত্রীর দাওয়াই গোটা দেশ জুড়ে লকডাউন। এবং সেই লকডাউনের মেয়াদ ২১ দিন। তাঁর মতে, এই ২১ দিন লকডাউন না করলে দেশ ২১ বছর পিছিয়ে যাবে।

এর আগে কেন্দ্রই পরামর্শ দিয়েছিল দেশের ৭৫টি জেলায় লকডাউন ঘোষণা করার। রাজ্যগুলিকে বলা হয়েছিল, যে যে জেলা থেকে করোনা আক্রান্তের খবর মিলেছে, সেই সব জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হোক। তার প্রেক্ষিতে সেই দিনই অর্থাৎ গত রবিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন সোমবার বিকেল পাঁচটা থেকে রাজ্যের একটা বড় অংশে লকডাউন করা হবে। কলকাতা-সহ রাজ্যের সমস্ত পুরশহরগুলিতে তিনি লকডাউন করে দেওয়ার নির্দেশ দেন।


এই সংক্রান্ত আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন

এর পর এ দিন দুপুরেই লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় ৩১ মার্চ মধ্যরাত পর্যন্ত করার কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু তার পর এ দিন রাত আটটায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতির উদ্দেশে তাঁর ভাষণে জানিয়ে দিলেন, মঙ্গলবার রাত বারোটা থেকে ২১ দিনের জন্য ঘরবন্দি থাকতে হবে গোটা দেশকে। আগামী ১৪ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত একান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বেরোতে পারবেন না।

কী বললেন প্রধানমন্ত্রী, দেখে নিন…

তাঁর ভাষণে এ দিন মোদী বলেন, ‘‘করোনা সংক্রমিত অন্যান্য উন্নত দেশের উদাহরণ দেখে এই পদক্ষেপ করা ছাড়া অন্য কোনও রাস্তা খোলা ছিল না। এই ২১ দিন সময় ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তা না হলে দেশ ২১ বছর পিছিয়ে যাবে।’’ মোদীর বক্তৃার পরেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ২০০৫- এর আওতায় লকডাউনের বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ফলে রাজ্যগুলিকেও তা মেনে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা জারি করতে হবে।

মোদী আরও বলেন, ‘‘এর ফলে আমাদের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে ঠিকই, কিন্তু মানুষের প্রাণ আগে। তাই আজ রাত বারোটা থেকে ঘরের বাইরে লক্ষ্মণরেখা টেনা দেওয়া হল। যার বাইরে গেলেই করোনাভাইরাসকে নিজের ঘরে নিয়ে আসার হবে।’’


(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মতে, যে হেতু এই ভাইরাস মাঝে মধ্যেই মিউটেশনের মাধ্যমে চরিত্র বদলাচ্ছে, তাই ঝুঁকি না-নিয়ে দু’সপ্তাহের পরিবর্তে একবারে তিন সপ্তাহ লকডাউনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।