প্লেনারি থেকেই কংগ্রেসের ভোলবদল?

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক:  সাত সকালেই নিজের টুইটার হ্যান্ডলের নাম বদলেছিলেন রাহুল। @অফিসঅবআরজি থেকে পাল্টে নিজের নামেই করে নিয়েছেন। দুপুর পৌনে ১২টা নাগাদ ফের টুইট করে জানিয়েছিলেন, শনিবার সকাল ৯টা থেকে তাঁর টুইটার হ্যান্ডল @রাহুলগান্ধী নামে হয়েছে। সেখানেই তাঁর সঙ্গে সমস্ত রকম যোগাযোগ করা যাবে। তিনিও ওই হ্যান্ডল থেকেই যা বার্তা দেওয়ার দেবেন। যাঁরা মিস করে গিয়েছেন তাঁদের জন্যই ওই বার্তা দিয়েছিলেন রাহুল।

আসলে এ দিন ছিল বিশেষ এক দিন। সভাপতি হওয়ার পর রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বে জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম প্লেনারি। সে এক ঝাঁচকচকে অধিবেশন। এত দিন যা ছিল পুরনোদের, এ বার সেটাই নয়া রূপ পেল যেন। পুরনোরাও রয়েছেন। সকলে মিলে তুললেন সেল্ফি। প্রাক্তন সভাপতি সনিয়া গান্ধীকেও দেখা যায় সেল্ফি নিতে। যেন নতুন প্রজন্মের জন্য নয়া এক দল।
অধিবেশনের শুরুতেই রাহুল জানিয়েছেন, আগামী দিনে বদলের কথা ভাবতে হবে। সেই বদল কোনও ভাবেই ঐতিহ্যকে সরিয়ে দিয়ে নয়। অতীতকে ভুলেও নয়। নতুন প্রজন্ম দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, নতুন ও পুরনোর মেলবন্ধন করাই তাঁর কাজ। এ দিন রাহুল বিজেপিকেও নিশানা করেছেন। তাঁর বক্তব্যে জানান, কংগ্রেস এবং বিজেপি-র মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক। বিজেপি বিদ্বেষে বিশ্বাস করে। রাহুলের মতে, কংগ্রেসের হাতিয়ার ভালবাসা। কংগ্রেস যে কাজ করে, তা শুধুমাত্র দেশের জন্যই।

এ দিন সনিয়াকেও বেশ আক্রমণাত্মক লেগেছে। বিজেপি সরকারকে নিশানা করে তিনি বলেন, “আমরা প্রমাণ-সহ সরকারের কুকীর্তি, দুর্নীতি, প্রতারণার ঘটনা সামনে এনেছি। মানুষ বুঝেছে ২০১৪ সালে দেওয়া বিজেপি-র সব প্রতিশ্রুতি ছিল শুধুই নাটক।’’

নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে এ দিন কংগ্রেসের প্লেনারি অধিবেশন থেকে খড়্গহস্ত হন রাহুল। তিনি দাবি তোলেন, ফের ব্যালট পদ্ধতি ফিরিয়ে আনতে হবে। নির্বাচনে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হলে ব্যালট পেপারই জরুরি বলে মনে করেন তিনি। এটা কংগ্রেসের রাজনৈতিক প্রস্তাব। সেখানে বলা হয়েছে, ইভিএমের নিয়ে রাজনৈতিক দল এবং সাধারণ ভোটারদের মধ্যে যে সন্দেহ, সংশয় তৈরি হয়েছে তা দূর করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। আর সে জন্যই পুরনো ব্যালট পদ্ধতি ফিরিয়ে আনতে হবে।

প্রায় দু’দশক আগে এ দেশে প্রথম ইভিএম-এ নির্বাচন শুরু করায় কমিশন। তার পর থেকে ওই যন্ত্র নিয়ে অভিযোগ কম ওঠেনি। সম্প্রতি ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনেও একই অভিযোগ উঠেছে। তাই কংগ্রেসের দাবি কিছুটা সঙ্গত বলেই মনে করছে বিজেপি বিরোধী শিবির।