শিশু ধর্ষণ করলে দোষীর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

শিশু ধর্ষণ
জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: শিশু ধর্ষণ নিয়ে গোটা দেশ সমালোচনায় সরব। কাঠুয়া এবং উন্নাওয়ের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে গোটা দেশ। দোষীদের শাস্তি চেয়ে পথে নেমেছে সাধারণ মানুষ। তেমনই একটা সময়ে শিশু ধর্ষণ নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ করল কেন্দ্র। শিশু ধর্ষণে দোষীদের সাজা হিসাবে শনিবার নয়া অর্ডিন্যান্সে সম্মতি জানাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। অর্ডিন্যান্সে সাজা হিসাবে মৃত্যুদণ্ডের কথা বলা হয়েছে।
এ দিনই চার দিনের বিদেশ সফর সেরে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফিরেই তিনি মন্ত্রিসভার বৈঠকে বসেন। সেখানেই কার্যত নয়া সাজার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। মন্ত্রিসভায় বিষয়টা প্রথম তোলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়া কাণ্ডের পরই শিশু ধর্ষণের শাস্তির ক্ষেত্রে আইনের বদল আনার জন্য গত সপ্তাহেই প্রস্তাব করেছিলেন কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী মেনকা গান্ধী। এ দিনের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে শিশু ধর্ষণের চূড়ান্ত শাস্তি কী হতে পারে তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। শেষে মৃত্যুদণ্ডতেই ঐকমত্য হয়েছে মন্ত্রিসভা। অর্ডিন্যান্সটি এ বার রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।
এর আগে মোদী সরকারের বক্তব্য ছিল, মৃত্যুদণ্ড সব সমস্যার সমাধান হতে পারে না। এ কথা সুপ্রিম কোর্টেও জানানো হয়েছিল সরকারের তরফে। কিন্তু, এই মুহূর্তে গোটা দেশ যে ভাবে উত্তাল হয়েছে, ঘরে বাইরে চাপের মুখে তাই সিদ্ধান্ত নিতে এক প্রকার বাধ্যই হয়েছে সরকার। এমনটাই মনে করছেন সমাজকর্মীদের একাংশ। প্রাথমিক ভাবে উন্নাও এবং কাঠুয়া কাণ্ডে বিজেপি-র তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। চুপ ছিলেন প্রধানমন্ত্রীও। কিন্তু, পরিস্থিতি জটিল হয়ে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী মুখ খোলেন। তিনি বলেন, ‘‘অপরাধীদের কেউ ছাড় পাবে না।’’
 উন্নাওয়ের ঘটনায় উত্তরপ্রদেশেরই এক বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধেই অভিযোগ ওঠে। সে ক্ষেত্রে বিজেপির নীরব অবস্থান নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অভিযোগ ওঠে, যোগী আদিত্যনাথের সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার বাঁচাতে চাইছে ওই বিধায়ককে। পরিস্থিতি এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছয়, শেষে বাধ্য হয়েই মুখ খোলে বিজেপি। কাজেই সাজার এই নয়া বিধান কার্যত চাপে পড়েই নিতে হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাকে।
এর আগে ১২ বছরের কম বয়সী শিশু কন্যা ধর্ষণের ঘটনায় দোষীকে ন্যূনতম ৭ বছর এবং সর্বাধিক যাবজ্জীবনের সাজার বিধান ছিল। কিন্তু, নয়া অর্ডিন্যান্স জারি হলে এই ধরনের ঘটনার সাজা হবে মৃত্যুদণ্ড। পরিসংখ্যান বলে, শিশু ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৭ জন ছাড়া পেয়ে যায়। বাকি তিন জনের মধ্যে বেশির ভাগই কম সাজা পায়। এ বার তা আরও কড়া হাতে রুখতে চায় কেন্দ্র।