শিনা বোরা হত্যা মামলার মূল অভিযুক্ত ইন্দ্রানী বিবাহ বিচ্ছেদ চাইলেন

শিনা বোরা হত্যাপিটার-শিনা-ইন্দ্রানী

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: শিনা বোরা হত্যা মামলা চলছে গত তিন বছর ধরে। কিন্তু হঠাৎই অন্য মোর নিল সেই মামলার দুই অভিযুক্তের সম্পর্ক। জেলে বসেই স্বামী পিটার মুখোপাধ্যায়কে বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিস পাঠালেন ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়। যে নোটিসে তিনি লিখেছেন, এই বিয়ে এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যা আর পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়। বাইকুলা মহিলা জেলে এই কেস ফাইল করেছেন তিনি।

বেশ কয়েক বছর আগের ঘটনা। হঠাৎই এক সকালে গোটা দেশকে চমকে দিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে তোলপাড় করে দিয়েছিল মায়ের হাতে মেয়ে খুনের কাহিনী। সেটা ২০১৫ সাল। সেই শিনা বোরা হত্যা মামলার মূল অভিযুক্ত তারই মা ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায় এখন জেলে। মেয়েকে খুনের মামলায় তাঁর সঙ্গে জেল খাটছে ইন্দ্রানীর বর্তমান স্বামী পিটার মুখোপাধ্যায়ও। দু’জনেই  শিনা বোরা হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। মামলা চলছে।

পিটার মুখোপাধ্যায় এই মুহূর্তে রয়েছেন আর্থার রোড জেলে। সম্প্রতি ইন্দ্রানী জানিয়েছিলেন, তাঁর জীবন সঙ্কটে রয়েছে। যে কারণে তিনি পিটার মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আর্থিক বোঝাপড়া চান। এবং তাঁকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দেন। সেই প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতেই বিবাহ বিচ্ছেদের কাজ শুরু করে দিলেন ইন্দ্রানী। ইন্দ্রানীর আইনজীবী পিটারকে পাঠানো নোটিসে লিখেছেন, ‘‘আমার মক্কেল মনে করেন এই বিয়ে আর পুনরুদ্ধার করার জায়গায় নেই। যা ভেঙে গিয়েছে। এবং নতুন করে মিল হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। যেটা আপনিও মেনে নিয়েছেন।’’

যুদ্ধ কেড়ে নিয়েছিল যৌনাঙ্গ

২৪ বছরের শিনা বোরা ইন্দ্রানীর আগের পক্ষের সন্তান ছিলেন। যাঁকে ইন্দ্রানী তাঁর কাছে এনে রেখেছিলেন। কিন্তু পরিচয় দিতেন নিজের বোন হিসেবে। ২০১২ সালের এপ্রিলে খুন করা হয় শিনা বোরাকে। শিনাকে যখন কেউ দেখতে পাচ্ছে না দীর্ঘদিন তখন ইন্দ্রানীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলতেন ইন্দ্রানী আমেরিকায় রয়েছেন। ২০১৫-এর অগস্টে ইন্দ্রানী ও তাঁর দ্বিতীয় স্বামী যাঁর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পরই পিটারকে বিয়ে করেন ইন্দ্রানী দু’জনকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ। পিটার মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয় নভেম্বরে।

গত মাসেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ইন্দ্রানী। মনে করা হয়েছিল ড্রাগের ওভার ডোজের জন্যই এমনটা হয়েছে। হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে অ্যান্টি ডিপ্রেসিং ড্রাগ বেঞ্জোডিয়াজেপিনের ওভার ডোজ হয়ে গিয়েছিল। এ বার জেলে থেকেই বিবাহ বিচ্ছেদ চাইলেন ইন্দ্রানী। কারণ তিনি বুঝে গিয়েছেন পিটার কোনওভাবেই আর তাঁর পাশে নেই।