শাহজাহানের লালকেল্লাকে দত্তক নিল ডালমিয়া ভারত গ্রুপ

শাহজাহানের লালকেল্লাকে দত্তক নিলশাহজাহানের লালকেল্লাকে দত্তক নিল

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ‘অ্যাডপ্ট আ হেরিটেজ’ প্রকল্পে শাহজাহানের লালকেল্লাকে দত্তক নিল ডালমিয়া ভারত গ্রুপ। ছিল শাহজাহানের সন্তান। হল ডালমিয়া ভারত গ্রুপের সন্তান, তবে দত্তক সূত্রে। এখন থেকে ওই হেরিটেজ স্থাপত্যের দেখভাল এবং রক্ষণাবেক্ষণের যাবতীয় দায়িত্ব ওই গোষ্ঠীর।

সপ্তদশ শতকে লালকেল্লা বানিয়েছিলেন পঞ্চম মুঘল সম্রাট শাহজাহান। মুঘল, ইংরেজদের হাত ঘুরে স্বাধীন ভারতে ওই কেল্লার দায়িত্ব বর্তায় আর্কিয়োলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার কাঁধে। কিন্তু, গত বছর কেন্দ্রের মোদী সরকার সিদ্ধান্ত দেয় দেশের এ রকম একশো স্থাপত্যকে বেসরকারি সংস্থার দায়িত্বে দেওয়া হবে। প্রকল্পের নাম ঠিক হয় ‘অ্যাডপ্ট আ হেরিটেজ’। সেই প্রকল্পেই গত ৯ এপ্রিল ডালমিয়া ভারত গ্রুপের সঙ্গে একটি মউ চুক্তি সই হয় কেন্দ্রীয় পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রক এবং আর্কিয়োলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার। এ জন্য ওই সংস্থাকে পাঁচ বছরের জন্য সরকারকে ২৫ কোটি টাকা দিতে হবে। সেই চুক্তির কথা সরকার প্রকাশ্যে আনে ২৫ এপ্রিল।

সংস্থা সূত্রে খবর, আগামী ২৩ মার্চ থেকেই তারা কেল্লার রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু করবে। প্রথমেই রাতের কেল্লা সাজিয়ে তোলা হবে আলোকসজ্জায়। সেই কাজ শেষ হওয়ার পরই জুলাই মাসেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থার হাতে কেল্লার দায়িত্ব দিয়ে দিতে হবে। কারণ, স্বাধীনতা দিবসের দিন এই লালকেল্লা থেকেই তো জাতির উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন। তার পর ফের শুরু হবে কাজ।

মরা পশুর মাংস ভাগাড় থেকে আমার-আপনার পাতে!

কেল্লার বিভিন্ন জায়গায় দেওয়ালে তুলে ধরা হবে তার ইতিহাস। করা হবে থ্রি-ডি শো। রাতে কেল্লাকে সাজিয়ে তোলা হবে নানাবিধ আলোয়। হবে লাইট শো। এ ছাড়া প্রতিবন্ধীদের জন্য কেল্লার বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ মেঝে তৈরি করা হবে। যাতে তাঁদের ঘুরেফিরে দেখতে কোথাও কোনও অসুবিধা না হয়। রাখা হবে ব্যাটারিচালিত গাড়িও। করা হবে, খাবারের স্টল এবং কফিশপের ব্যবস্থা। শুধু তাই নয়, পর্যটকদের কাছে শুধু এক দিনের ঘোরার জায়গা হিসাবে লালকেল্লাকে সীমাবদ্ধ রাখা হবে না। পর্যটদের ঢল নামাতে সেখানে নিয়মিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এ সবই জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে।

কেল্লার বিভিন্ন জায়গায় দেওয়ালে তুলে ধরা হবে তার ইতিহাস। করা হবে থ্রি-ডি শো। রাতে কেল্লাকে সাজিয়ে তোলা হবে নানাবিধ আলোয়। হবে লাইট শো। এ ছাড়া প্রতিবন্ধীদের জন্য কেল্লার বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ মেঝে তৈরি করা হবে। যাতে তাঁদের ঘুরেফিরে দেখতে কোথাও কোনও অসুবিধা না হয়। রাখা হবে ব্যাটারিচালিত গাড়িও।

তবে এ সবের জন্য পর্যটকদের টিকিট কাটতে হবে। সেই টাকাতেই রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চালাবে ডালমিয়া ভারত গ্রুপ। সংস্থার এক কর্তা জানিয়েছেন, ইউরোপে লালকেল্লার চেয়ে অনেক ছোট মাপের স্থাপত্যকেও ঢের বেশি করে পর্যটকপ্রিয় করে তোলা হয়েছে এই ভাবে। লালকেল্লার এই প্রকল্প সফল হবে বলেই তাঁদের আশা। এতে ডালমিয়া ভারত গ্রুপের নাম দেশের বিভিন্ন স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। তারা কেল্লার বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের সংস্থার ব্যানার এবং হোর্ডিং টাঙানোর সুযোগ পাবেন।

ইন্ডিগো এবং জিএমআর গ্রুপেকে হারিয়ে ডালমিয়া ভারত এই বরাত পেয়েছে। ২০১৭-র সেপ্টেম্বরে ওই প্রকল্প ঘোষণার পর জানা যায় লালকেল্লার পাশাপাশি ওই তালিকায় রয়েছে তাজমহলের নাম। জিএমআর স্পোর্টস এবং আইটিসি নাকি তাজমহলের বরাত পাচ্ছে।