রাজ বব্বর কি ইস্তফা দিলেন আদৌ?

রাজ বব্বররাজ বব্বর

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: সকাল সকাল খবরটা দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল। অভিনেতা রাজনীতিক রাজ বব্বর নাকি উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়া সে খবর বুধবার নিশ্চিত হিসাবেই ধরে নিয়েছে রাজনৈতিক শিবিরগুলি। কিন্তু, কংগ্রেসের তরফে সে খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়নি।

‘‘কোথা থেকে এমন খবর রটেছে জানি না। কংগ্রেসে সকলেই দলীয় সদস্য। পদ আমাদের দলে খুবই প্রতীকী।’’ রাজ বব্বর

রাজ বব্বর নিজেও এই জল্পনার আগুনে ঘি ছড়িয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘দল নতুন করে সাজা হচ্ছে। সভাপতি যে পদ এবং কাজ দেবেন, ২০১৯-এর লক্ষ্যে সেটাকে কার্যকর করে তোলাই আমাদের দায়িত্ব।’’ কিন্তু, তিনি ইস্তফা দিয়েছেন কি না সে প্রশ্নের জবাবে রাজ শুধু বলেন, ‘‘কোথা থেকে এমন খবর রটেছে জানি না। কংগ্রেসে সকলেই দলীয় সদস্য। পদ আমাদের দলে খুবই প্রতীকী।’’

কংগ্রেসের প্লেনারি অধিবেশনে সভাপতি রাহুল গান্ধী কয়েক দিন আগেই দিল্লিতে দলীয় কর্মীদের জানিয়েছিলেন, নেতৃত্বে তারুণ্য নিয়ে আসতে চান তিনি। প্রবীণদের অভিজ্ঞতা এবং তরুণদের কার্যক্ষমতা— এই দুয়ের মিশেলেই এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে কংগ্রেসকে। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে দলে রদবদল ঘটানো হবে। বিশেষ করে রাহুল তাঁর বক্তব্যে তরুণ প্রজন্মকে তুলে আনার কথা বলায় প্রদেশ কংগ্রেসের শীর্ষপদে যে বয়স্করা রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে দানা বাঁধছে আশঙ্কা। তাঁদের একটা অংশ মনে করছেন, অসম্মানিত হয়ে বিদায় নেওয়ার বদলে, ইস্তফা দেওয়াই ভাল।

সুষমা স্বরাজ: মসুলে অপহৃত ৩৯ ভারতীয়ই মৃত

ঘটনাচক্রে তার পরেই গোয়া প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে শান্তারাম নায়েক পদত্যাগ করেন। শোনা যাচ্ছে গুজরাতের সভাপতি ভারত সিন সোলাঙ্কিও নাকি ইস্তফা দেবেন। এঁদের দু’জনের তুলনায় রাজের বয়স অনেকটাই কম। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, বয়সের ভারে নয়, সিনেমার জগৎ থেকে রাজনীতিতে পা দেওয়া রাজ পিছিয়ে পড়েছেন নির্বাচনের ময়দানে।

কেমন?

সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর ও ফুলপুরে যে উপনির্বাচন হয়েছে, তাতে দুই আসনেই কংগ্রেসের জামানত জব্দ হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে রাজ সেই ভরাডুবির দায় অস্বীকার করতে পারেন না। এ কথাটা তাঁর থেকে ভাল কেউ জানে না। যদিও তাঁর বক্তব্য, যতটা তাঁর ক্ষমতা, তিনি সবটাই করেছেন।

অনাস্থা প্রস্তাব আজও ডুবল মুলতুবির কাদায়

কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রমোদ তিওয়ারি জানিয়েছেন, ৬৫ বছরের রাজ কিন্তু ইস্তফা দেননি। যদিও দলের আর একটা সূত্র জানাচ্ছে, রাজ ইস্তফা দিয়েছেন। কিন্তু, হাইকম্যান্ড তা গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনিই উত্তরপ্রদেশের সভাপতি থাকছেন।