জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: উপনির্বাচনে হারের বদলা রাজ্যসভা নির্বাচনে৷ গোরক্ষপুর ও ফুলপুরের লোকসভা উপনির্বাচনে হারের মুখ দেখতে হয়েছিল বিজেপিকে৷ সেই দুই আসনে রাজ্যসভায় জিতেই কাজ শেষ করল বিজেপি৷ উত্তরপ্রদেশের ১০টি আসনের মধ্যে ন’টি জিতে নিয়েছে গেরুয়াবাহিনী৷ অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷
৭ রাজ্যোর রাজ্যসভার মোট ২৬টি আসনে শুক্রবার ভোট হয়৷ সারাদিন ধরেই এই সাত রাজ্যের ভোট নিয়ে দেশ জুড়ে ছিল টানটান উত্তেজনার পরিবেশ৷ গননার সময় সেই উত্তেজনা তুঙ্গে পৌঁছয়৷ তার মধ্যে মুখ্য ভূমিকা নেয় অবশ্যই ক্রস ভোটিং৷ সঙ্গে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের পালা তো চলছিলই৷ গননা মাঝে একবার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেটা আরও বড় আকার নেয়৷ কিন্তু সাত রাজ্যের মধ্যে সব থেকে বেশি উত্তেজনার ভোট হল উত্তরপ্রদেশে৷ ফল ঘোষণা চলে রাত ১০টার পরেও৷ উত্তরপ্রদেশের এই দুই আসন নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি৷ মুখ্যমন্ত্রীর গোরক্ষপুর ও উপ-মুখ্যমন্ত্রীর ফুলপুরে ভোট কেনাবেচার অভিযোগও উঠেছে৷
অন্যদিকে ঝাড়খণ্ডে বিধায়ক ভাঙিয়েও জিততে পারেনি বিজেপিষ কর্ণাটকে কংগ্রেসের দখলে এসেছে তিনটি আসন৷ বিজেপি বিশ্বাস করে রাজ্যসভা ভোটের ফল মায়াবতী-অখিলেশ কংগ্রেস জোটের জন্য একটা বড় ধাক্কা৷ উত্তরপ্রদেশের মতো না হলেও কম নাটক হয়নি কর্ণাটকেও৷ কংগ্রেসের দুই বিধায়ককে দু’বার ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে অভিযোগে ঝামেলা তুঙ্গে ওঠে৷ তার জেরে ভোট গনা বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে৷ পরে দেবগৌড়ার দল ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয়৷ তাতে কংগ্রেসের সুবিধে হয়েছে মনে করলেও তিনটি আসনই পেয়েছে তারা৷ বিজেপি একটি৷
এই মায়াবতী-অখিলেশ জোটে ক’দিন আগেই জোড় ধাক্কা খেয়েছিল মোদী, শাহ, আদিত্যনাথরা৷ কিন্তু খুব দ্রুত সেই ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াল বিজেপি৷ এ বার ১৭টি রাজ্য থেকে ৫৫ জন নির্বাচিত হয়েছেন রাজ্যসভায়৷ তার মধ্যে ১০ রাজ্যের ৩৩টি আসনে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতাই হয়নি৷ এ যাত্রায় সাত রাজ্যের ২৭ টি আসনের মধ্যে সারা দেশের নজর ছিল একটি আসনেই৷ সেটি যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যের ১০ নম্বর আসন৷
রাজ্যসভা নির্বাচনে এ রাজ্য থেকে প্রত্যাশিত ভাবেই ৪টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। একটি আসনে জয়ী কংগ্রেস। তবে, বাম সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী রবীন দেব হেরে গিয়েছেন। এ রাজ্যে ৫টি আসনের জন্য শুক্রবার সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছিল। বিকেল ৪টে পর্যন্ত তা চলে। ৫টা থেকে শুরু হয় গণনা। সারা ক্ষণই ওই ছয় প্রার্থী বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন। নিয়ম মতো ৪৯টি ভোট পেলেই এক জন প্রার্থীর জয় সুনিশ্চিত ছিল। তৃণমূলের বিধায়কেরা চার প্রার্থীকে ৪৯টি করে ভোট দিয়েও বেশ কিছু ভোট অতিরিক্ত থেকে যায়। সেই অতিরিক্ত ভোট প্রতিশ্রুতি মতো কংগ্রেস প্রার্থীকে দেওয়া হয়। ফলে পঞ্চম আসনে কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। তবে তিনি কিন্তু ৪৯টি ভোট পাননি। পেয়েছেন ৪৭টি। বাম সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী রবীন দেব ৩০টি ভোট পাওয়ায় ১৭ ভোটে এগিয়ে থাকা অভিষেক পঞ্চম আসনে জিতে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ভোটের ফল ঘোষিত হলে জানা যায় তৃণমূল প্রার্থী নাদিমুল হক, আবির বিশ্বাস, শুভাশিস চক্রবর্তী এবং শান্তনু সেন জিতেছেন।