রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নিলেন যশবন্ত সিনহা

রাজনীতিযশবন্ত সিনহা।
জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন। বিজেপিতে থেকেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারের সমালোচনা করতে কখনও পিছপা হননি। একের পর এক বিষয়ে তিনি মোদী সরকারের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত হয়েছেন। শনিবার সেই যশবন্ত জানিয়ে দিলেন, তাঁর সঙ্গে আর বিজেপি-র কোনও যোগ নেই।
এ দিন দুপুরে পটনায় যশবন্ত সিনহা বলেন, ‘‘বিজেপি-র সঙ্গে আজ থেকে আমি সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলাম। সব ধরনের দলীয় রাজনীতি থেকে আমি সন্ন্যাস নিলাম।’’
প্রবীণ এই নেতা বিজেপি যোগ দিয়েছিলেন সেই নয়ের দশকে। দলীয় রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করার সময় যশবন্ত তাঁর এই সিদ্ধান্তের জন্য বিজেপিকেই দায়ী করেছেন। দলের বর্তমান অবস্থানই তাঁকে ওই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে বলে জানিয়ে যশবন্ত সিনহা বলেন, ‘‘আমি বিজেপি ছাড়ছি কারণ, দলের এখনকার অবস্থান। আপনারা সকলেই সদ্য শেষ হওয়া সংসদ অধিবেশন দেখেছেন। অতীতে কখনও এত সংক্ষিপ্ত অধিবেশন হয়নি।’’
কিন্তু, রাজনীতি ছেড়ে কী করবেন যশবন্ত সিনহা? তিনি জানিয়েছেন, এখন থেকে বিজেপি বিরোধী সব দলের মধ্যে সমন্বয় তৈরি করার চেষ্টা করবেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘আমি কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দিচ্ছি না। এবং দলীয় রাজনীতির সঙ্গে আমি কোনও সংশ্রব রাখতেও চাই না। আমি কোনও দলের কোনও উচ্চ পদ পাওয়ার প্রত্যাশী নই।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘পরিষ্কার ভাবে একটা কথা বলতে চাই, আমি কোনও পদের দাবিদার হওয়ায় উৎসাহীও নই।’’
এ দিন যশবন্ত সিনহার সংগঠন ‘রাষ্ট্রীয় মঞ্চ’-এর বৈঠক ছিল পটনায়। সেখানে কংগ্রেস এবং লালুপ্রসাদের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রতিনিধিরা ছিলেন। ছিলেন বিজেপি-র আরও এক সমালোচক সদস্য শত্রুঘ্ন সিনহাও। সেখানেই এই কথা ঘোষণা করেন যশোবন্ত। তাঁর ছেলে জয়ন্ত সিনহার আজ জন্মদিন। জয়ন্ত এখনও মোদীর মন্ত্রিসভার সদস্য।
২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই দলে প্রায় ব্রাত্য যশবন্ত। তার আগে থেকেই তিনি দলের পুরনো নেতাদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলে সরব হয়েছিলেন। মোদী সরকার গঠনের পর একের পর এক বিষয়ে সেই সরকারের সমালোচনা করেছেন। আর্থিক দিক থেকে দেশ যে পিছিয়ে পড়ছে, সে কথাও সরবে বলেছিলেন। অটলবিহারী বাজপেয়ীর সরকারে যশবন্ত সিনহা প্রথমে অর্থ এবং পরে বিদেশ মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন। ১৯৯৮-এ তিনি ছিলেন দেশের অর্থমন্ত্রী। ২০০৪-এ বিজেপি সরকারে তিনি ছিলেন বিদেশ মন্ত্রী।