যৌন সম্পর্ক বাড়াবে নম্বর, কলেজ শিক্ষিকার ফোনে চমক!

যৌন সম্পর্কএই সেই কলেজ। ইনসেটে শিক্ষিকা নির্মলা দেবী।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: যৌন সম্পর্ক করতে হবে কলেজ আধিকারিকদের সঙ্গে। বিনিময়ে পরীক্ষায় মিলবে ভাল ফল। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে মোটা অঙ্কের টাকাও।

ছাত্রীদের কাছে এমন প্রস্তাব নিয়েই ফোন করেছিলেন স্বনামধন্য এক কলেজ শিক্ষিকা। কিন্তু, সেই ফোন রেকর্ড করে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশ করেন ওই ছাত্রীরা। এর পরেই তামিলনাড়ুর দেবাঙ্গ আর্ট কলেজের ওই শিক্ষিকা নির্মলা দেবীকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁকে গত মাসের শেষে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেছে বেসরকারি ওই কলেজ কর্তৃপক্ষ।

নির্মলা ফোন করে তাঁদের কলেজের এক আধিকারিকদের সঙ্গে যৌনতায় অংশ নিতে বলেন। এতে শিক্ষা এবং অর্থ— দু’টি বিষয়েই ছাত্রীরা লাভবান হবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, অন্য কাউকে বিষয়টা জানানো যাবে না।

গোটা ঘটনাটি ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রকাশ্যে এসেছে ওই অডিও ক্লিপও। জানা গিয়েছে, প্রায় দশ বছর ধরে ওই কলেজে অঙ্ক পড়ান নির্মলা। সম্প্রতি তিনি স্নাতক স্তরের কয়েক জন ছাত্রী-সহ এক জন গবেষককে ফোন করেন বলে অভিযোগ। সেই ফোন কলের রেকর্ড-সহ কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন ওই ছাত্রীরা। ওই অভিযোগে তাঁরা জানান, নির্মলা ফোন করে তাঁদের কলেজের এক আধিকারিকদের সঙ্গে যৌনতায় অংশ নিতে বলেন। এতে শিক্ষা এবং অর্থ— দু’টি বিষয়েই ছাত্রীরা লাভবান হবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, অন্য কাউকে বিষয়টা জানানো যাবে না। এমনকী পরিবারকেও নয়। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘যদি তুমি রাজি থাকো, তা হলে সেই মতো আমরা তোমার নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে দেব। সেখানে তোমার প্রাপ্য টাকা ঢিকে যাবে।’’ তাঁর পরামর্শ ছিল, নিজেরা ভেবে দেখে জানিও।

ধর্ষণ গুজরাতে, এ বারও এক নাবালিকা, শরীরে ৮০টি ক্ষত

ছাত্রীরা ভেবে দেখে জানান। তবে নির্মলাকে নয়,কলেজ কর্তৃপক্ষকে। সঙ্গে ওই ফোন কলের ভয়েস রেকর্ডিং। সেখানে পরিষ্কার শোনা যাচ্ছে, নির্মলা ছাত্রীদের ওই দরনের প্রস্তাব দিচ্ছেন। এর পরেই নামী ওই কলেজের কর্তৃপক্ষ ঝুঁকি নিতে চাননি। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। পাশাপাশি নির্মলাকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেন কাজ থেকে। স্থানীয় একটি নারীবাদী সংগঠনও অভিযোগ দায়ের করে। নড়েচড়ে বসে পুলিশ। তারা তথ্য-প্রযুক্তি আইনে মামলা করে। যৌন সম্পর্ক নিয়ে টেলিফোনে এমন প্রস্তাবের কথা অস্বীকার করেছেন নির্মলা দেবী।

নির্মলাকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেন কাজ থেকে। স্থানীয় একটি নারীবাদী সংগঠনও অভিযোগ দায়ের করে। নড়েচড়ে বসে পুলিশ। তারা তথ্য-প্রযুক্তি আইনে মামলা করে। যৌন সম্পর্ক নিয়ে টেলিফোনে এমন প্রস্তাবের কথা অস্বীকার করেছেন নির্মলা দেবী।

রাজ্যের রাজ্যপাল বনোয়ারিলাল পুরোহিতকে নিজের ঘনিষ্ঠ বলেই বিভিন্ন জায়গায় দাবি করতেন নির্মলা। পদাধিকার বলে ওই কলেজের উপাচার্যও তিনি। ঘটনার কথা জানতে পেরে তিনি প্রাক্তল কোনও আমলাকে দিয়ে এই অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তকে কোনও ভাবেই ছাড়া হবে না। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডিএমকে নেতা এমকে স্ট্যলিনের প্রশ্ন, শিক্ষা ব্যবস্থাকে নষ্ট করতে ওই শিক্ষিকা পড়ুয়াদের জীবন নিয়ে এ কোন খেলা খেলছেন! তিনি এই বিষয়ে হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে মামলাটি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।