প্রশ্ন ফাঁস: সিবিএসই নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকেও চিঠি দিয়েছিলেন এক পড়ুয়া!

প্রশ্ন ফাঁসপ্রশ্ন ফাঁস

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিযে জানিয়েছিলেন তিনি। দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীর নাম জাহ্নবী বহেল। রবিবার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জাহ্নবী বলেন, আমি একটি চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে লিখেছিলাম গত ১৭ মার্চ। কিন্তু, সেই চিঠি পেয়ে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। যাঁরা এই প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাঁদের গ্রেফতার করা উচিত ছিল।

জাহ্নবী আরও জানিয়েছেন, তিনি আরও কয়েক জন পড়ুয়া এবং শিক্ষকের সঙ্গে পুলিশের কাছেও গিয়েছিলেন। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে কারা প্রশ্ন ফাঁস করেছিলেন তাঁদের নামে অভিযোগও করেন। কিন্তু, পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে জাহ্নবীর অভিযোগ।

জাহ্নবীর এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর তেড়েফুঁড়ে ওঠে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন এ জন্য ক্ষমা চাইবেন না, সেই দাবিও তোলে তারা। অন্য দিকে, সিবিএসই-র দ্বাদশ শ্রেণির অর্থনীতির প্রশ্ন ফাঁসে কাণ্ডে দিল্লি থেকে ধরা পড়লেন তিন জন। দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্র্যাঞ্চ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে দু’জন একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক। অন্য জন দিল্লিরই একটি কোচিং সেন্টারের মালিক।

সিবিএসই প্রশ্ন ফাঁসে নয়া মোড়, নতুন করে হবে পরীক্ষা

দশম শ্রেণির অঙ্ক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় ইতিমধ্যেই ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ১২ জনকে। এর পর দিল্লি থেকে নতুন করে আরও তিন জন গ্রেফতার। বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীদেরও দাবি, সিবিএসই যদি দশম শ্রেণির পরীক্ষা নতুন করে নেয় তা হলে তা শুধু দিল্লি কিংবা হরিয়ানায় নয়, গোটা দেশেই নেওয়া হোক।

জটিলতা বাড়ছে দ্বাদশ শ্রেণির অর্থনীতির পুনর্পরীক্ষা নিয়েও। পরীক্ষার দিন ঠিক করা হয়েছে আগামী ২৫ এপ্রিল। কিন্তু পড়ুয়াদের অভিযোগ, এত দেরি করে পরীক্ষার জন্য তাঁরা অন্যান্য প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারছেন না। ফলে উচ্চশিক্ষায় ভর্তির ক্ষেত্রে তাঁদের সমস্যার মুখে পড়তে হবে।

আমি একটি চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে লিখেছিলাম গত ১৭ মার্চ। কিন্তু, সেই চিঠি পেয়ে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। যাঁরা এই প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাঁদের গ্রেফতার করা উচিত ছিল। জাহ্নবী বহেল

প্রশ্ন ফাঁসে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কেন্দ্র। অর্থনীতির প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে যে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তদন্তকারীদের দাবি, এঁরা তিন জন মিলে অর্থনীতির প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছিলেন পরীক্ষা শুরুর দেড় ঘণ্টা আগে। স্কুলে প্রশ্নপত্রের যে বান্ডিল এসেছিল, তার সিল খুলে ছবি তোলার পর ঋষভ এবং রোহিত তা হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন টিউটরিয়ালের মালিক তৌকিরের কাছে। এর পর একদল ছাত্রছাত্রীর কাছে তৌকির তা ফরওয়ার্ড করে দেন।

জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে মাথাপিছু নেওয়া হয়েছিল দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। সেই টাকার অর্ধেক নিজে রেখে বাকি ৫০ শতাংশ না কি তৌকির দিয়েছিলেন দুই শিক্ষককে। পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে মোট ৬৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৩ জন ছাত্র, ৯ জন শিক্ষক।