ধর্ষণ গুজরাতে, এ বারও এক নাবালিকা, শরীরে ৮০টি ক্ষত

ধর্ষণধর্ষণের প্রতিবাদে

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ধর্ষণ এ বার গুজরাতে। কাঠুয়াতে গণধর্ষণের পর খুন এবং উন্নাওতে গণধর্ষণ নিয়ে গোটা দেশ যখন তোলপাড়, তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যেই এমন আরও একটি ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা ঘটল।

পুলিশ সূত্রে জানানো হযেছে, ১১ বছরের এক নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়েছে গুজরাতে সুরাতের পান্ডসেরা এলাকায়। সেখানে একটি জঞ্জালের স্তূপ থেকে ওই নাবালিকার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে লেখা হযেছে, মেয়েটিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তার শরীরে অন্তত ৮০টি আঘাতের চিহ্ন মিলেছে বলেছে ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ওই নাবালিকার পরিচয় জানা যায়নি।

নাবালিকা এবং তার পরিবার সম্পর্কে কোনও তথ্য দিতে পারলে গুজরাত পুলিশ ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেবে বলেও ঘোষণা করেছে গুজরাত পুলিশ।

পুলিশের অনুমান, ওই নাবালিকার বাড়ি অন্য কোথাও। তাকে মেরে পান্ডসেরা এলাকায় ফেলে যাওয়া হয়েছে বলেও প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করছে পুলিশ। নাবালিকা এবং তার পরিবার সম্পর্কে কোনও তথ্য দিতে পারলে গুজরাত পুলিশ ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেবে বলেও ঘোষণা করেছে গুজরাত পুলিশ।

অন্য দিকে, জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি শনিবার সেখানকার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখে বিশেষ ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট গঠন করার আবেদন জানিয়ে ৯০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করার অনুরোধ করেছেন। ওই দিনও উন্নাও ধর্ষণে অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিংহ সেঙ্গারকে সাত দিন সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যে মহিলা ধর্ষিতাকে লোভ দেখিয়ে সেঙ্গারের বাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁকেও শনিবার গ্রেফতার করা হয়েছে।

ফাঁসি চাই অপরাধীদের, বলছেন আসিফার বাবা

জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলার রিসানা গ্রামে থাকত আসিফা। এ বছরের জানুয়ারি মাসে আট বছরের ছোট্ট মেয়েটি ঘোড়া চরাতে গিয়ে আর ফেরেনি। পরে, একটি জঙ্গল থেকে সেই আসিফার দেহ উদ্ধার হয়। তাকে অপহরণ করে কয়েক দিন গণধর্ষণ করা হয়। খুন করে তার দেহ ফেলে রাখা হয়েছিল কাঠুয়ার জঙ্গলে। এর পর অপরাধীদের ধরতে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ গড়িমসি করেছিল বলে অভিযোগ ওঠে। আট অভিযুক্তের মধ্যে এখনও সবাই ধরাও পড়েনি। তাদের প্রত্যেকের ফাঁসি চান আসিফার বাবা।

আবার উত্তরপ্রদেশের উন্নাওতে অন্য এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে বিজেপির এক বিধাযকের বিরুদ্ধে। পরে তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে এসে মেয়েটি গায়ে আগুন দেয়। এর পর পুলিশ তার বাবাকে ধরে নিয়ে যায়। সেই সমযেই তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়।