ধর্ষণে দোষী আসারাম, সাজা মিলল যাবজ্জীবন কারাবাস

ধর্ষণে দোষী আসারামধর্ষণে দোষী আসারাম

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ষোল বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণে দোষী আসারাম যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা পেল। বুধবার জোধপুর সেন্ট্রাল জেলের বিশেষ আদালতে এই সাজা শুনিয়েছেন বিশেষ বিচারপতি মধুসূদন শর্মা। যাবজ্জীবন কারাবাসের পাশাপাশি আসারামের ১ লাখ টাকা জরিমানাও করেছে আদালত।

২০১৩ সাল থেকেই এই জেলে রয়েছে আসারাম। ওই বছরের ১৪ এবং ১৫ অগস্ট নিজের আশ্রমে এক শিষ্যের নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ করে স্বঘোষিত ওই ধর্মগুরু। নাবালিকার ভিতরের ‘শয়তান’কে ‘তাড়াতে’ ওই ‘কাজ’ করেছিল আসারাম। লোক জানানজানি করলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয় তাকে। অভিযোগ পেতেই পুলিশ তাকে পকসো আইনে গ্রেফতার করে। আদালতের নির্দেশে জেল হেফাজতে ছিল সে। দীর্ঘ পাঁচ বছর শুনানির পর এ দিন রায় শোনানো হয়। আদালতে রায়ে খুশি নির্যাতিতার পরিবার। তাঁর বাবা জানান, এই রায়ে তাঁরা ভীষণই খুশি। অপরাধীর সাজা হওয়ায় খুশি নির্যাতিতাও।

মৃতের পেনিসেই যুবকের যৌনজীবন ফিরল

জোধপুরের এই মামল‌ায় আসারাম ছাড়াও আরও চার অভিযুক্ত ছিল। তাদের মধ্যে দু’জনকে ২০ বছরের সাজা এবং অন্য দু’জনকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়েছে। এ দিন আসারামদের রায়কে কেন্দ্র করে রাজস্থা‌ন, হরিয়ানা এবং গুজরাত— এই তিন রাজ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এর আগে আর এক স্বঘোষিত ধর্মগুরু রামরহিমের সাজা ঘোষণার দিন উত্তাল হয়ে উঠেছিল হরিয়ানা। সেই কথা মাথায় রেখেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। জোধপুর শহরে ছিল ১৪৪ ধারা। নিরাপত্তার কারণেই জেলের ভিতরে বিশেষ আদালত বসানো হয়।

আসারামের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, আদালতের রায় হাতে পেয়ে, তা খতিয়ে দেখেই উচ্চ আদালতে আপিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জোধপুরের এই মামলা ছাড়াও আসারাম এবং তার ছেলে নারায়ণ সাঁইয়ের বিরুদ্ধে সুরাতে ২০০২ ও ২০০৪ সালে দুই বোনকে ধর্ষণের মামলাও রয়েছে। আসারামের বয়স এখন ৭৭। যাবজ্জীবন সাজা কাটাতে তাকে বাকি জীবনটা জেলেই থাকতে হবে। এ দিন আসারামের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, আদালতের রায় হাতে পেয়ে, তা খতিয়ে দেখেই উচ্চ আদালতে আপিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

দুনিয়া জুড়ে আসারামের প্রায় ৪০০ আশ্রম রয়েছে। রয়েছে বিপুল সংখ্যায় ভক্ত। তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ কয়েক হাজার কোটি টাকা। এই মামলা চলাকালীন মোট ৯ জন সাক্ষী আক্রমণের শিকার হয়েছেন। তার মধ্যে তিন জন মারা গিয়েছেন। মোট ১২ বার জামিনের আবেদন করেও তা পায়নি আসারাম। অবশেষে ধর্ষণে দোষী আসারাম পেল যাবজ্জীবনের সাজা।