জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কয়েদি নম্বর ১০৬, জোধপুর সেন্ট্রাল জেলে এখন এটাই একমাত্র পরিচয় সলমন খানের। বৃহস্পতিবারই পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের সাজা পেয়ে আদালতের নির্দেশে সলমনকে জেলে পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার তাঁর জামিনের আবেদন নিয়ে শুনানি ছিল নগর ও দায়রা আদালতে। কিন্তু, সেই শুনানি শনিবার পর্যন্ত পিছিয়ে যাওয়ায়, এ দিনের রাতটাও তাঁকে জেলের ওয়ার্ডে কাটাতে হবে।
তাঁর কাধে এই মুহূর্তে রয়েছে বলিউডের প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যবসার দায়ভার। অথচ ২০ বছর আগের হরিণ শিকারের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে আপাতত সলমন খান রয়েছেন জোধপুরের জেলে। পরনে পরিচিত জেল পোশাক। পিছনে বড় বড় করে কয়েদি নম্বর লেখা— ১০৬।
প্রীতি জিন্টা তো এ দিন সকালেই জোধপুরে হাজির হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার জোধপুরের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালত থেকে সোজা তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেন্ট্রাল জেলে। কারা দফতরের তরফে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, জেলে কোনও বিশেষ সুবিধা পাবেন না সলমন। সেই মতো একটি কাঠের চৌকি এবং কম্বল দেওয়া হয় ৫২ বছর বয়সী এই বলিউড সুপারস্টারকে। রাতে খেতে দেওয়া হয়, ডাল, সব্জি এবং রুটি। কিন্তু, তার কিছুই দাঁতে কাটেননি সলমন। এমনকী, এ দিন সকালের চা-বিস্কুট এবং জলখাবারের খিচুড়িও তিনি কাননি। তবে কি উপবাসে আছেন সলমন? জেলের তরফে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
তবে, সলমনকে নিয়ে আবেগআপ্লুত বলিউডের শিল্পীমহল। রানি মুখোপাধ্যায় থেকে জয়া বচ্চন, প্রীতি জিন্টা থেকে বরুণ ধবন— সকলেই সলমনের এই দুর্দিনে তাঁর পাশে আছেন বলে জানিয়েছেন। প্রীতি তো এ দিন সকালেই জোধপুরে হাজির হয়েছেন।
অভিযুক্ত এক জন চিত্রতারকা। তিনি অন্যদের কাছে দৃষ্টান্ত। লোকে তাঁকে অনুকরণ করে। সেই তিনিই নিরীহ হরিণগুলোকে মেরেছেন। বিচারক
জোধপুরের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট। কিন্তু একই মামলায় অভিযুক্ত বলিউডের অন্য চার তারকা, সইফ আলি খান, তব্বু, সোনালি বেন্দ্রে এবং নীলম কোঠারি রেহাই পেলেন প্রমাণের অভাবে। জেলে সলমনের সঙ্গে একমাত্র তাঁর আইনজীবীর দেখা করার অনুমতি রয়েছে। বাকি কেউ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারবে না বলে প্রীতিও দেখা করতে পারেননি তাঁর দীর্ঘ দিনের বন্ধু সলমনের সঙ্গে।
বৃহস্পতিবারই বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনে দোষী সাব্যস্ত করার সময় ম্যাজিস্ট্রেট দেবকুমার ক্ষত্রী জানিয়েছিলেন, এমনিতেই চোরাশিকারের বাড়বাড়ন্ত। এখানে অভিযুক্ত এক জন চিত্রতারকা। তিনি অন্যদের কাছে দৃষ্টান্ত। লোকে তাঁকে অনুকরণ করে। সেই তিনিই নিরীহ হরিণগুলোকে মেরেছেন। কিন্তু, ওই একই মামলায় বেকসুর ছাড় পেয়ে গিয়েছেন অভিনেতা সইফ আলি খান, তব্বু, নীলম কোঠারি এবং সোনালি বেন্দ্রে।
যৌন হেনস্তা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে আপাতত এই জোধপুর জেলেই আছে আসারাম বাপু। সেই একই ওয়ার্ডে আরও একটা রাত কাটাতেই হচ্ছে কয়েদি নম্বর ১০৬ সলমনকে।