কী ভাবে প্রতারণার কবলে পিএনবি?

পুরনো পাসওয়ার্ড দিয়েই কেল্লা ফতে করেছিলেন গোকুলনাথ শেট্টি। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে কর্মরত অবস্থায় ওই পাসওয়ার্ড তাঁকে দিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। কাজের সেই পাসওয়ার্ড অবসর গ্রহণের পরেও ব্যবহার করেছিলেন তিনি। গোকুলনাথের সঙ্গে ব্যাঙ্কের বর্তমান কয়েক জন কর্মীও জড়িত। মুম্বইয়ের এক আদালতে তথ্য জমা দিয়ে প্রাথমিক ভাবে এমনটাই দাবি করেছে সিবিআই।

আন্তঃব্যাঙ্ক বার্তা চালাচালির জন্য ‘সুইফট’ নামে একটি সিস্টেম ব্যবহার করা হত পঞ্জাব ন্যাশনালে। সিবিআইয়ের দাবি, কর্মরত অবস্থায় যে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতেন গোকুলনাথ, তা দিয়েই তিনি নীরব মোদী এবং তাঁর মামা মেহুল চোক্সীদের কোম্পানির জন্য অন্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার কাগজপত্র তৈরি করতেন। এবং ব্যাঙ্কের বর্তমান কয়েক জন কর্মী তা অনুমোদন করে অন্য ব্যাঙ্কে বার্তা দিতেন। ফলে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের মধ্যস্ততায় ঋণ পেতে তাঁদের কোনও সমস্যা হত না।

কিন্তু, এ ভাবে হাজার হাজার কোটি টাকা প্রতারণার পরেও ব্যাঙ্কের অন্য কর্মীদের কেন তা নজরে এল না? কর্তারা বলছেন, যে সিস্টেমে কাজ হয়, তাতে এটা বোঝার কথা ছিল। কিন্তু, কেন ধরা পড়েনি তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে, নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ব্যাঙ্কের কয়েক জন কর্মী জানিয়েছেন, ভারতের মতো দেশে উপযুক্ত পরিস্থিতিতে কর্মীরা কাজ করার সুযোগ পান না। শাখাগুলিতে যে চাপ, তার তুলনায় কর্মী সংখ্যা অনেক কম। কাজেই প্রত্যেকের কাঁধেই বাড়তি দায়িত্ব। সে কারণেই দিনের পর দিন এটা করার সুযোগ পেয়েছেন গোকুলনাথেরা। তবে, কোথায় কোথায় অসঙ্গতি রয়ে গিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে।