জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আসিফা নামের ছোট্ট মেয়েটিকে গণধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় এই প্রথম নরেন্দ্র মোদী সরকারের কেউ মুখ খুললেন। বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিংহ এ বিষয়ে টুইট করেছেন। ঘটনাচক্রে এ দিন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও আসিফাকে নিয়ে মুখ খুলেছেন। মাঝরাতে তিনি দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে মোববাতি মিছিলে হাঁটবেন বলে জানা গিয়েছে।
আসিফা নামের ছোট্ট মেয়েটিকে গণধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় এই প্রথম নরেন্দ্র মোদী সরকারের কেউ মুখ খুললেন।
জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলার রিসানা গ্রামের আট বছরের মেয়ে আসিফা এ বছরেরই ১০ জানুয়ারি নিখোঁজ হয়ে যায়। ঘোড়া চরাতে বাড়ি থেকে মাইলখানেক দূরের একটা ঝিলে গিয়েছিল সে। তার পর ফেরেনি। সপ্তাহখানেক পরে রিসানা থেকে বেশ কিছুটা দূরে তার দেহ মেলে।
সেই ঘটনায় পরে জানা যায়, একাধিক পুলিশ কর্মী জড়িত ছিল। কিন্তু, এত দিন ঘটনাটির তেমন ভাবে সমালোচনা হয়নি। বিক্ষোভও দেখা যায়নি তেমন ভাবে। এ দিন ভি কে সিংহ টুইটারে লেখেন, ‘আসিফাকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হলাম। কিন্তু বিচার ওকে পাইয়ে দিতেই হবে।’’ বিজেপি সরকারের তরফে এই প্রথম কেউ আসিফা-কাণ্ডে মুখ খুললেন।
এ দিন ভি কে সিংহের টুইটের পরেই টুইটারে লেখেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। তিনি লিখেছেন, ‘এক জন অপরাধীকে কী ভাবে কেউ আড়াল করতে পারে? কাঠুয়ায় আসিফার সঙ্গে যা ঘটেছে, তা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। একটি শিশুর সঙ্গে যে ধরনের নৃশংস অপরাধ হয়েছে, তার মধ্যেও যদি আমরা রাজনীতি টেনে আনি, তা হলে আমাদের কী অবস্থা ভাবুন!’
How can anyone protect the culprits of such evil?
What happened to Asifa at #Kathua is a crime against humanity. It cannot go unpunished.
What have we become if we allow politics to interfere with such unimaginable brutality perpetrated on an innocent child?
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) April 12, 2018
তদন্তে এবং আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটে জানা গিয়েছে, স্থানীয় একটি মন্দিরে বেশ কয়েক দিন ধরে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল আসিফাকে। ঘুমের ওষুধ দিয়ে আচ্ছন্ন করে রাখা হয়েছিল। চার্জশিটে লেখা হয়েছে, দিনের পর দিন ধরে ধর্ষণ করা হয় আসিফাকে। অত্যাচার করা হয়। আর শেষে খুন করা হয়। শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল আসিফাকে। মাথায় পাথর দিয়ে দু’বার আঘাতের চিহ্নও মিলেছিল ময়নাতদন্তে।
We have failed Ashifa as humans. But she will not be denied justice.#PunishTheSavages #RapeAndMurderOfHumanity #Kathua #JusticeForAshifa #GenerallySaying pic.twitter.com/yQPUU0JDW4
— Vijay Kumar Singh (@Gen_VKSingh) April 12, 2018
চার্জশিটে বলা হয়েছে, চার জন পুলিশ কর্মীকে নিয়ে গোটা ষড়যন্ত্রটি করেছিল অন্য এক ব্যক্তি। পরে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হলে, ওই পুলিশ কর্মীরাই আসিফার পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে তাকে খুঁজতে বেরোয়। এমনকী, আসিফার মা-বাবা যখন থানায় অভিযোগ জানাতে এসেছিল, ওই চার জনেরই কেউ এক জন এফআইআর নিয়েছিল। জানা যায়, প্রমাণ লোপাট করতে আসিফার রক্ত আর কাদামাখা জামা ধুয়ে তার পর ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছিল এরাই।