আত্মঘাতী টিভি উপস্থাপক, ঝাঁপ দিলেন পাঁচ তলা থেকে!

আত্মঘাতী রাধিকাআত্মঘাতী রাধিকা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: এ ভাবে আত্মঘাতী হবেন, কেউ ভাবেনি। সব কিছুই ঠিক মতো ছিল। রোজকার মতো অফিসেই গিয়েছিলেন তিনি। বাড়ি ফেরার সময়ে ফ্ল্যাটের নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে ভাল ভাবে কথাও বলেন। কিন্তু, কিছু ক্ষণের মধ্যেই একটা কিছু পড়ার আওয়াজ পেয়ে সেই নিরাপত্তারক্ষী দৌড়ে গিয়ে দেখেন, বহুতল ওই আবাসনের নীচে পড়ে রয়েছে সেই মহিলার রক্তাক্ত দেহ। ওই আবাসনেরই পাঁচ তলার ফ্ল্যাটে থাকতেন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা জানান, অনেকটা উপর থেকে পড়ে গিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর চোট পেয়ে মারা গিয়েছেন তিনি।

ছ’মাস আগে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল রাধিকা রেড্ডির। হায়দরাবাদের মুসাপেত এলাকায় একাই একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন বছর ছত্রিশের ওই মহিলা। পেশায় সংবাদ উপস্থাপিকা। কাজ করতেন একটি তেলুগু খবরের চ্যানেলে। রবিবার রাতে ওই অ্যাপার্টমেন্ট থেকেই ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি।

এগ্‌জাম ওয়ারিয়র্স নিয়েই মোদীকে আক্রমণ রাহুলের

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, অফিস থেকে বাড়ি ফিরে পাঁচ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন রাধিকা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত ভাবে পুলিশ কিছু বলতে চায় না। তবে, রাধিকার হাতব্যাগ থেকে একটি সুইসাইড নোট খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। সেখানে লেখা ছিল, আমার মগজই আমার শত্রু। পুলিশ স্বতপ্রণোদিত ভাবে একটি মামলা দায়ের করে তদন্তে নেমেছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, রাধিকা বেশ কিছু দিন ধরেই অবসাদে ভুগছিলেন।

আমার মগজই আমার শত্রু। রাধিকা রেড্ডি

হায়দরাবাদ পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, অন্যান্য দিনের মতো রবিবারও অফিসে গিয়েছিলেন রাধিকা। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অফিস থেকে ফিরে তিনি সোজা নিজের ঘরে চলে যান। তার পরেই অ্যাপার্টমেন্টের পাঁচ তলার বারান্দা থেকে সোজা নীচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা জানান, রাধিকার মাথায় গুরুতর চোট লেগেছে। শরীরের একাধিক জায়গায় হাড় ভেঙেছে। কিছু ক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় ওই উপস্থাপিকার।

পুলিশ সূত্রে খবর, রাধিকার মাস ছয়েক আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তাঁর ১৪ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। বিবাহবিচ্ছেদের পর থেকে সে রাধিকার বাবা-মায়ের কাছেই থাকে। ছেলে মানসিক ভাবে অসুস্থ বলেও জানা গিয়েছে। এ সব নিয়েই মানসিক ভাবে অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। কাজের জায়গাতেও কোনও সমস্যা হয়েছিল কি না তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে, মনে করা হচ্ছে, বিবাহবিচ্ছেদ এবং ছেলের মানসিক অসুস্থতা— এই দুই-ই রাধিকার অবসাদের কারণ ছিল।