যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা, মৃত এইমস-এর তিন চিকিৎসক

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ফের দুর্ঘটনা যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে। রবিবার ভোরের ওই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন নয়াদিল্লির এইমস-এর তিন চিকিৎসক। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন আরও চার জন। তাঁরাও এইমস-এর চিকিৎসক।

পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন ভোর তিনটে নাগাদ আগ্রা থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে মথুরার কাছে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। মৃতদের নাম হেম বালা, যশপ্রীত এবং হর্ষদ। আহতদের নাম জিতেন্দ্র, ক্যাথরিন, মহেশ এবং অভিনব। হর্ষদের জন্মদিন উপলক্ষে সকলে মিলে আগ্রা যাচ্ছিলেন।

এ দিন ভোরে দিল্লি থেকে ৭ চিকিৎসকের ওই দলটি যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যাচ্ছিলেন একটি টয়োটা এসইউভি চেপে। ছয় লেনের ওই এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি চালানোর সর্বোচ্চ গতিসীমা ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। মথুরার কাছে একটি মিনি ট্রাককে ওভারটেক করতে গিয়ে পিছন থেকে তাকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিন চিকিৎসক। জখম চার চিকিৎসক-সহ ৭ জনকে এর পর এইমস-এ নিয়ে আসা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা জানান, অনেক ক্ষণ আগেই মারা গিয়েছেন হর্ষদরা।

সাউথ সিটির ফ্ল্যাট থেকে এই প্রথম নয়, এর আগে আরও কয়েক জন ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন 

এইমস ট্রমা সেন্টারের অধিকর্তা রাজেশ মলহোত্র জানান, হর্ষদের জন্মদিন উপলক্ষে ওই ৭ জন আগ্রা যাচ্ছিলেন। তিন চিকিৎসক ঘটনাস্থলেই মারা যান। বাকি চার জনের শল্য চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকেই বিপন্মুক্ত এখন।

আগ্রা পুলিশের কর্তা আদিত্য। শুক্ল জানান, ওই মিনি ট্রাকের চালক ঘটনার পরেই গাড়ি ফেলে পালিয়ে যান। গাড়ির নম্বর প্লেটটি উত্তরপ্রদেশের। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে। নির্ধারিত গতির চেয়ে অতিরিক্ত জোরে চলার জন্যই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান।

২০১২ সালে এই এক্সপ্রেসওয়ে চালু হয়। তার পর থেকে বহু দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাণ যায় বহু মানুষের। মূলত অনিয়ন্ত্রিত গতি, বেপরোয়া গাড়ি চালানোই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার কারণ। তবে শীত কালে কুয়াশাও অনেক প্রাণ নিয়েছে।

প্রায় ১৬৫ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে দিল্লি থেকে আগ্রা পর্যন্ত গিয়েছে। ১০০ কিলোমিটারের অনেক বেশি জোরেই ওই রাস্তায় গাড়ি চলে। ছয় লেনের ওই রাস্তায় বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালাতে গিয়ে অতীতেও অনেকের প্রাণ গিয়েছে। বিশেষ করে শীত কালে কুয়াশার দাপটে অনেক ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে। ভোরের দিকেও অনেক সময় দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে অনেকের।

এইমস-এর স্বনামধন্য চিকিৎসকদের এ দিনের মৃত্যুতে টনক নড়ে বসেছে প্রশাসনের। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।