বিজয় মালিয়া এবার বিয়ের হ্যাটট্রিক করতে চলেছেন!

বিজয় মালিয়াএই এয়ারহস্টেসকেই নাকি বিয়ে করতে চলেছেন মালিয়া।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আবার বিয়ে করছেন বিজয় মালিয়া? বাজারে এমনটাই আপাতত খবর। ৬২ বছরের বিজয় মালিয়া তৃতীয়বার বিয়ে করতেচলেছেন ৩৩ বছরের এক এযার হস্টেসকে। তাঁর নাম পিঙ্কি লালওানি। তিন বছর ধরেই এই সম্পর্ক চলছিল। লন্ডন থেকে দেড় ঘণ্টা দুরের হার্ডফোর্ডশায়ারে বিজয় মালিয়ার প্রাসাদেই থাকছেন তিনি। প্রাক্তন এই এয়ারহস্টেস কাজ করতেন মালিয়ারই এয়ার লাইন্স কিংফিশারে। বিজয় মালিয়াই পিঙ্কিকে কিংফিশারে যোগ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন।

এক সপ্তাহ আগেই নিজেদের একসঙ্গে থাকার বর্ষ  উদ‌্‌যাপন করেছে এই জুটি। বিশ্বস্ত সূত্রের খবর পিঙ্কি লালওয়ানিকে সম্প্রতি সব সময়ই দেখা গিয়েছে বিজয় মালিয়ার সঙ্গে।  লন্ডনে শুনানীর সময়ও পিঙ্কি ছিলেন বিজয়ের সঙ্গেই। যে কোনও পাবলিক ইভেন্টেও দু’জনকে সব সময় পাশাপাশি দেখা গিয়েছে।

২০১৬ সালের মার্চে ভারত ছাড়েন বিজয় মালিয়া। ভারতের ব্যাঙ্কে ন’হাজার কোটি টাকার ধার রয়েছে মালিয়ার। বন্ধ হয়ে যাওয়া কিংফিশার এয়ারলাইন্সকে তুলে আনতেই এই ব্যাঙ্ক লোন দেখিয়েছিলেন মালিয়া। কিন্তু তাঁর বিমান সংস্থা বন্দ হয়ে যায়। এখনও তা একই অবস্থায় রয়েছে। এর পর তাঁর বিরুদ্ধে টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয়। কিন্তু তিনি আর দেশে ফেরেননি। বিদেশেই  রয়েছেন বহাল তবিয়তে। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে একাধিকবার কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই জামিনও পেয়ে গিয়েছেন তিনি।

রাস্তা ভুলে ট্রেন গেল অন্য স্টেশনে

বিজয় মালিয়া আগে বিয়ে করেছিলেন সামিরা তেবজিকে। তিনিও এয়ার ইন্ডিয়ার প্রাক্তন এয়ার হস্টেস। সেটা ১৯৮৬-৮৭ সাল। ১৯৯৩ এ তিনি দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন রেখা মিলায়কে।  দুই স্ত্রীর থেকে বিজয় মালিয়ার তিনটি সন্তান রয়েছে। সিদ্ধার্থ, লেনা ও তানিয়া। অতীতে তাঁর সংস্থা ভারতীয় ফুটবলকেও স্পনসর করেছে। কলকাতার দুই ক্লাব ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান দীর্ঘদিন চলেছে বিজয় মালিয়ার সংস্থার স্পনসরশিপেই। কিন্তু তাঁর কিংফিশার এয়ার লাইন্স বন্ধ হয়ে যাওয়া ও বিভিন্ন সংস্থার ভরাডুবিতে সেই স্পনসর চলে যায় দুই ক্লাবের হাত থেকে। সমস্যায় পড়ে ভারতীয় ফুটবলের দুই ক্লাব। সেই বিপুল পরিমানের স্পনসর আর জোটেনি কলকাতার ক্লাবগুলির।  এই মুহূর্তে আইপিএল টিম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু রয়েছে তাঁদের।

গত বছর এপ্রিলে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড পুলিশ বিজয় মালিয়াকে গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু জামিনে মুক্ত হয়ে যান তিনি। সদ্য শুনানীতে জাজ বলেছেন, এটা চোখ বন্ধ করে বলা যায় ভারতীয় ব্যাঙ্কের নিয়ম ভঙ্গ করেছেন তিনি। এমন কিছু ধার নিয়েছে যা মৃত কিংফিশারের নামে।