নয়াদিল্লি না গিয়ে ট্রেন পৌঁছে গেল পুরনো দিল্লি, একটা ছোট্ট ভুল

স্পেশাল ট্রেন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: নয়াদিল্লি যাবে বলেই রওনা দিয়েছিলেন। তখন গন্তব্যে পৌঁছতে আর বিশেষ দেরি নেই। জিনিসপত্র গুছিয়ে তৈরিই ছিলেন ট্রেনের যাত্রীরা। কিন্তু ট্রেন যখন থামল, তখন স্তম্ভিত সকলে। যাওয়ার কথা ছিল নয়াদিল্লি, কিন্তু ট্রেনের ভুল পথে তাঁরা পৌঁছে গিয়েছেন পুরনো দিল্লি স্টেশনে। এমন ঘটনা সচরাচর ঘটতে দেখা যায় না। বিশ্বের সব থেকে বড় রেল পরিষেবার মধ্যে অন্যতম ভারতই। সেখানে এমন ভুলের নজির কমই রয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার দিল্লিতে ঘটল এমনই ঘটনা।

মঙ্গলবার সকাল ৭.৩৮ মিনিটে সদর বাজার রেল স্টেশনে একইসঙ্গে পৌঁছেছিল দুটো ট্রেন। একটি পানিপথ-নয়াদিল্লি ও একটি সোনপথ-পুরনো দিল্লি রুটের। দুটো ট্রেনেরই প্রায় একই সঙ্গে ছেড়ে যার যার গন্তব্যে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একটা ছোট্ট ভুল করে বসেন রেলের লগ অপারেটর কর্মী। দুটো ট্রেনের নম্বর এবং সময় একই রকম হওয়ায় গণ্ডগোলের সূত্রপাত। উল্টে যায় ট্রেনের পথ।

উত্তর রেলের মুখপাত্র নীতিন চৌধুরী বলেন, ‘‘দুটো ট্রেনই একসঙ্গে স্টেশনে এসেছিল। লগ অপারেটর ভুল করে পানিপথ-নয়াদিল্লি প্যাসেঞ্জার ট্রেনকে সোনপথ-পুরনো দিল্লি ট্রেনের রাস্তায় পাঠিয়ে দেন।’’ লগ অরারেটরকে বরখাস্ত করা হয়েছে। যদিও ভুল শুধরে তার পরই সেই ট্রেনকে আবার নয়াদিল্লি স্টেশনে পাঠানো হয়। তিনি আরও বলেন, ‘‘এটা খুব অস্বাভাবিক ঘটনা নয় যে, এ ভাবে অন্যত্র চলে যাবে ট্রেন। গত বছর ঘটেছিল এ রকমই এক ঘটনা। যে ট্রেনটির যাওয়ার কথা ছিল টুন্ডলা হয়ে সেটিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল ভায়া মোরাদাবাদ।

অস্ত্র মিছিল নিয়ে ক্ষুব্ধ সরকার

তবে এমন ঘটনায় বড়সড় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারত। অতীতে যে ঘটেনি এমনটাও নয়। এ রকমই একটা দুর্ঘটনার সাক্ষী আজও বয়ে বেড়াচ্ছে উত্তরবঙ্গের গাইসাল স্টেশন। যেখানে লাইনম্যানের ভুলেই দুটো ট্রেন মুখোমুখি চলে এসেছিল। যার ফলে ঘটে গিয়েছিল ভারতীয় রেলের বৃহত্তম দুর্ঘটনা লাইনম্যানের ভুলে। ১৯৯৯ সালের ২ অগস্টের রাত দেড়টার ঘটনা। নয়াদিল্লি থেকে অসমের দিকে যাচ্ছিল অবধ আসাম এক্সপ্রেস। অন্য দিকে ডিব্রুগড় থেকে উল্টো দিকে যাচ্ছিল ব্রহ্মপুত্র মেল। দুটো ট্রেনেই নির্ধারিত আসনের তুলনায় যাত্রী সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। সরকারি হিসেব বলছে ২৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল সেই দুর্ঘটনায়।  আহত ৩০০। কিন্তু বেসরকারি হিসেবে আহতের সংখ্যা ১০০০। কারণ রিজার্ভেশন ছাড়াও অনেক মানুষ ছিলেন। পরবর্তী সময়ে সেই গাইসালের স্টেশনমাস্টার এই দুর্ঘটনার অভিঘাত মানতে না পেরে আত্মহত্যা করেছিলেন। ভারতীয় রেলের ইতিহাসে এমন ঘটনাও রয়েছে।