কলকাতায় থ্যালাসেমিয়া ক্লিনিক নিয়ে এল অ্যাপোলো গ্লেনেগলেস

কলকাতায় থ্যালাসেমিয়া ক্লিনিক

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: কলকাতায় থ্যালাসেমিয়া ক্লিনিক । এই প্রথম স্টেট অফ আর্ট থ্য়ালাসেমিয়া ক্লিনিক শুরু করল অ্যাপোলো গ্লেনেগলেস ক্যান্সার হাসপাতাল। রক্তের এই বিশেষ রোগ নিয়ে নানা রকমের মত রয়েছে। কিন্তু এ বার শুধুই থ্য়ালাসেমিয়ার জন্য পুরো একটা ক্লিনিক এই রোগিদের অনেকটাই সাহায্য করবে দ্রুত শুশ্রষা পেতে। ভারতে থ্য়ালাসেমিয়া আক্রান্তের সংখ্যা শুনলে অবাক হতে হবে। এবং আরও অবাক করবে প্রতিদিন তা যে ভাবে বাড়ছে তার হিসেব।

এই মুহূর্তে গোটা ভারত জুড়ে চার কোটি থ্যালাসেমিয়া রোগী রয়েছেন। বিশ্বে ভারতকে থ্যালাসেমিয়ার ক্যাপিটাল বলেই আখ্যা দেওয়া হয়। আরও ভয়াবহ তথ্য় হচ্ছে প্রতি বছর সেই সংখ্যায় যোগ হচ্ছে ১০ হাজার নতুন নাম। যে চিন্তার বড় কারণ। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের একটি স্টাডিতে বলা হয়েছে প্রতি বছর রক্ত পরিবর্তনের জন্য ২ লক্ষ্য ইউনিট প্যাকেট ব্লাড সেলের প্রয়োজন হয়। বছরে থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসার জন্য খরচ হয় ১৫ হাজার কোটি টাকা।

অ্যাপোলো গ্লেনেগলেসের কলকাতার সিনিয়র হেমাটো-অঙ্কোলজিস্ট ডাক্তার সৌম্য ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘যদি দু’জন বিটা থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত মানুষ একে অপরকে বিয়ে করে তাহলে ২৫ শতাংশ সম্ভাবনা থাকে তাদের সন্তানেরও থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মাবার। যে কারণে বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষাটা জরুরী যাতে দু’জন থ্যালাসেমিয়ার রোগি যেন একে অপরকে বিয়ে না করেন।’’

কানে আরশোলা ঢুকে পড়েছিল, রাতে ঘুমানোর সময়

এই থ্যালাসেমিয়া ক্লিনিকে, প্রি-ম্যারিটাল চেক আপের পাশাপাশি যাবতীয় অত্যাধুনিক ব্য়বস্থা রয়েছে। সেখানে ব্লাড ট্রান্সফিউশন ও বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট হবে। থ্যালাসেমিয়া থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার সব থেকে বড় চিকিৎসা হচ্ছে বিএমটি। এই মুহূর্তে এমন অসুধ এসেছে যাতে বিমটির সময় যে সঙ্কট থাকে তা অনেকটাই কেটে যায়। যদি কোনও শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়েই জন্মায় তাঁকে শুরু থেকেই চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে দেওয়াও সম্ভব বলে মনে করছেন ডাক্তাররা।

পাশাপাশি যাঁরা নিয়মিত রক্ত নেন তাঁদের শরীরে যাতে সঠিক রক্তই যায় সেদিকেও খেয়াল রাখাটা জরুরি। ডাক্তারদের মতে, থ্যালাসেমিয়া এমন একটা রোগ যেটা রুখে দেওয়া যায়। তার জন্য দরকার সঠিক চিকিৎসা। অনেক সময় এও দেখা এই সামাজিক ব্যবস্থায় সন্তানের থ্যালাসেমিয়া লুকিয়ে রাখেন পরিবারের লোকজন। যাতে বিয়ের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা না হয়। এই মানসিকতাটাই বদলাতে হবে বলে মনে করছেন এখানকার ডাক্তাররা।