Mental Health Issue বাড়াতে পারে ডায়াবেটিসের আশঙ্কা

Mental Health Issue

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কোভিড পরিস্থিতিতে খুব বেশি করে সামনে চলে আসছে Mental Health Issue । মানসিক অসুস্থতাকে একটা সময় কোনওভাবেই গুরুত্ব দেওয়া হত না। কিন্তু সেটা যে শারীরিক অসুস্থতার থেকেও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে তা ক্রমশ সামনে আসছে। বিশেষ করে এই পরিস্থিতিতে। কিন্তু মানসিক সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করাটাই উচিত। মেন্টাল হেলথ ইস্যু জীবনের সর্বত্র খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। আর তা পৌঁছে যেতে পারে শারীরিক অসুস্থতায়। সঙ্গে নষ্ট হয়ে যেতে পারে ব্যক্তিগত ও পেশাদার জগত। সব ঠিক রাখতে আনন্দে থাকাটা খুবই জরুরী।

ডায়াবিটিসের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের একটা বড় যোগ রয়েছে। এক কথায় টোটাল হেলথ বলতে বোঝায় স্বাস্থ্যকর মন ও শরীর। মানসিকভাবে ঠিক না থাকলে ব্লাড প্রেসারের সমস্যা দেখা দিতে পারে। জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলে। আর ডায়াবিটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে জীবনযাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখাটা খুবই জরুরী। যা সঠিক না হলে আরও নানা রকমের সমস্যা ডেকে আনতে পারে।

প্রথমত তো ডিপ্রেশন ব্লাড সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের বাইৱে নিয়ে যেতে পারে। কারণ হতাশা মানুষকে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে দেয় না। হতাশাগ্রস্থ মানুষ, সঠিক সময়ে ঘুম থেকে ওঠে না, শরীরচর্চা করেন না, সঠিক খাবার খান না। আর যা করেন সবটাই খুব অনিয়মিতভাবে করেন। আর অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন থেকেই ডায়াবিটিসের সমস্যা শুরু হয়। দীর্ঘদিন এভাবে চললে তা প্রভাব পড়ে হৃদযন্ত্রে, কিডনিতে। দেখা দেয় নার্ভের সমস্যা। এই সব থেকে বাঁচতে হতাশাকে জীবনে ঢুকতে দিলে চলবে না। আসলেও তা নিজেকেই কাটিয়ে উঠতে হবে। নিজে যেটা পারা যায় সেটা অন্য কেউ করে দিতে পারে না। তাই নিজের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নিজেই হয়ে উঠুন।

ফুড থেরাপিতে অনেকটাই কাজ হয়। জীবনকে রঙিন করে তুলতে খাবারেও রঙ রাখতে হবে। যেমন বিভিন্ন রঙের ফল খেতে পারেন। যেমন লাল আপালে, কমলা লেবু, হলুদ কলা, সবুজ পেয়ারা ইত্যাদি। সবজির ক্ষেত্রেও সেই রঙ বেছে কেনা যেতে পারে। ভিটামিন-সি যুক্ত খাবার রাখতে হবে মেনুতে। টমেটো, লেবু, পেতে রাখতে হবে। কমাতে হবে স্ট্রেস। আতঙ্ক আর অতিরিক্ত চিন্তা ব্লাড সুগার বাড়াবেই। কমাতে হবে স্ট্রেস। মেডিটেশন, যোগা, প্রতিদিনের রুটিনে রাখতে হবে শরীরচর্চা।

আর সব থেকে বেশি করে নিজের জন্য সময় বের করতে হবে। আজকের দ্রুততার যুগে যে সময়টা আমাদের কারও কাছে নেই। কিন্তু সেই সময়টা বের করতে হবে। সেই সময়ের মধ্যে ফোনও ব্যবহার করবেন না। সেই সময় গান শুনতে পারেন, কিছু পছন্দের খাবার বানাতে পারেন, বই পড়তে পারেন বা শুধু চোখ বুজে শুয়ে থাকতে পারেন। সেই কথা ভাবতে পারেন যা আপনাকে আনন্দ দেয়। মনে করতে হবে জীবনে যে পরিস্থিতিই আসুক না কেন তা একদিন কেটে যাবেই বা তার একদিন বদল হবেই। আর সেই বদলটা সব সময় নিজের হাতে থাকে না। তাই একটু ধৈর্য্য ধরতে পারাটা খুবই জরুরী। যা বর্তমান যুগে মানুষের প্রায় নেই বললেই চলে।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)