ব্রেইন হেলথ: অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতার থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ

ব্রেইন হেলথ

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ব্রেইন হেলথ নিয়ে আমাদের খুব একটা মাথা ব্যথা নেই। কিন্তু আসলে সব কিছুর উৎপত্তি এই মাথা থেকেই। তাই মাথা নিয়ে মাথাটা একটু বেশিই ঘামাতে হবে। না হলে তার প্রভাব পড়বে মাথার চুল থেকে পায়ের নোখ পর্যন্ত। সে কারণে আগে মাথাটাকে ঠিক রাখুন। আর তার জন্য খুব বেশি কষ্ট করতে হবে না। আপনার হাতের কাছেই সব সময় থাকে এমন কিছু জিনিস, যার ব্যবহারে আমার ব্রেইন হয়ে উঠতে পারে সতেজ। বর্তমান সময়ে মানুষের জীবনযাত্রা বদলে গিয়েছে। বিশেষ করে কাজের বাইরে মানুষ ডুবে থাকছে গ্যাজেটে। আর একটা সময়ের পর আর মাথা কাজ করে না। তার প্রভাব পরে প্রতিদিনের জীবনে। তাই ব্রেইন হেলথ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সবার আগে বলি শরীরচর্চা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। মেডিটেশনও করতে পারেন। আর তার সঙ্গে কিছু খাবার জুড়ে নিতে হবে আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে। আর সচেতনার সঙ্গে কমাতে হবে স্ক্রিন টাইম। আজকাল সব কিছুই যেহেতু অন-লাইন সেকারণে স্বাভাবিকভাবে স্ক্রিন টাইম অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। অফিসের কাজের বাইরেও শপিং, বিল পেমেন্ট, মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ সবই ওই অন-লাইন। তবুও চেষ্টা করতে হবে একটা বড় সময় নিজেকে স্ক্রিন থেকে সরিয়ে রাখতে। চেষ্টা করতে হবে অফিসের কাজের মাঝে মাঝেই অন-লাইনের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সেরে ফেলতে। তাহলেই কমানো যাবে স্ক্রিন টাইম। এবার আসি খাবারের কথায়—

চকোলেট: চকোলেট কে না ভালবাসে। ফ্রিজে রাখাই থাকে চকোলেট। তাহলে আপনার ব্রেইন ভালই রয়েছে। কেন চকোলেট ব্রেইনের জন্য ভাল? কোকো বিনসের মধ্যে থাকে ফ্র্যাভোনোল নামক এক ধরনের অনু। যা মস্তিষ্ককে সচল রাখে। সাইন্টিফিক জার্নালের একটি রিসার্চে উঠে এসেছে এই তথ্য। হোয়াইট বা সাধারণ চকোলটের তুলনায় যদি ডার্ক চকোলেট খাওয়া যায় তাহলে কাজ আরও ভাল হয়। তাতে ফ্ল্যাভোনোর অনেকটাই বেশি থাকে।

কমলালেবু: ভাল কমলালেবুর জন্য অবশ্য শীতকালের জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকতে হবে। তাতে যদিও সমস্যা নেই অন্যান্য জিনিস তো থাকল। তাই শীতকালে জনিলে কমলা খান। এমনিতেই আবহাওয়ার জন্য শীতকালে ব্রেইনের কর্মক্ষমতা কমে যায়। সেই সময় রোজ একটা করে কমলা খেলে নিজেকে চটপটে, সচল রাখতে সুবিধে হবে। ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন নিয়ে আমেরিকার এক জার্নালের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রাপ্ত বয়স্করা যদি প্রতিদিন অরেঞ্জজুস পান করেন তাহলে জ্ঞ্যানেন্দ্রীয়গুলো অনেকবপেশি কর্মক্ষম হয়ে ওঠে। বিশ্ব জুড়ে প্রাপ্ত বয়স্কদের উপর রিসার্চের পরই এই সিদ্ধান্তে আসা গিয়েছে।

চা: চা তো আমাদের রোজকার জীবনের সঙ্গী। সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজের পছন্দের একপাচ চা না হলে দিনটাই শুরু হয় না। দিনের শুরুটাই যদি চা দিয়ে হয় তাহলে প্রথম থেকেই ব্রেইন চাঙ্গা হয়ে যায়। আমরা কিন্তু সেই প্রমান হাতে নাতে পাই। যেমন ধরুন কাজ করতে করতে খুব ঘুম পাচ্ছে, সমাধান চা। মাথা ধরেছে, সমাধান চা। কাজের এনার্জি পাচ্ছেন না, সমাধান সেই চা। তাই চা পানে কার্পন্য করবেন না। তবে কোনও কিছুই অতিরিক্ত ভাল ‌নয়। কিন্তু একটি স্টাডি বলছে, যাঁরা চা পান করেন না তাঁদের থেকে যাঁরা চা পান করেন তাঁদের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বা ব্রেইন হেলথ অনেক বেশি ভাল।

মাছ: বাঙালির সব থেকে প্রিয় খাবার। কথায় আছে বাঙালিরা মাছ খায় বলে তাদের বুদ্ধি অন্যান্য প্রজাতির থেকে অনেক বেশি। একটা সময় বলা হত, ‘বাঙালি আজ যেটা ভাবে গোটা দেশ সেটা কাল ভাবে।’ এখন যদিও পরিস্থিতি বদলেছে তবে বাঙালির মাছ খাওয়ার অভ্যেস মানসিকভাবে তাঁদের অনেকটাই এগিয়ে রাখে। মাঠের মধ্যে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। যা হৃদযন্ত্র থেকে ত্বক, সব কিছুর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গে ব্রেইন হেলথেরও উন্নতি করে মাছ। মস্তিষ্কের কোষকে সচল রাখে। আমেরিকার জার্নাল প্রিভেন্টিভ মেডিসিনের দাবি, খাদ্য তালিকায় মাছ থাকলে মস্তিষ্ট জনিত রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায় অনেকাংশেই। বিশেষ করে যে সব মাছে ভিটামিন-ই রয়েছে।

পাতা জাতীয় সবুজ সবজি: সবজির কোনও বিকল্প থাকতে পারে না স্বাস্থ্যের জন্য। বিশেষ করে সবুজ শাক বা সবুজ সবজি। প্রতিদিন যদি খাদ্য তালিকায় একটি করে সবুজ সবজি বা শাক রাখা যায় তাহলে ব্রেইন অনেক সতেজ থাকবে। তার মধ্যে থাকতে পারে ব্রোকোলি, লেটুস, পালংশাকসহ সব ধরনের সবুজ সবজি। ফেডারেশন অব আমেরিকান সোসাইটি ফর এক্সপেরিমেন্টাল বায়োলজির তথ্য অনুযায়ী সবুজ সবজিতে ভিটামিন-কে, বেটা-ক্যারোটিন, ফোলেট এবং লিউটিন থাকায় তা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)