জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কোভ্যাক্সিন নামে করোনার প্রতিষেধক বা টিকা খুব তাড়াতাড়ি ভারতের বাজারে পাওয়া যাবে। মানবদেহে ওই টিকা প্রয়োগ করে দেখার ছাড়পত্র জিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)। কোভ্যাক্সিন বানাবে হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক। কিন্তু কী ভাবে এবং কাদের উপর পরীক্ষা করা হবে কোভ্যাক্সিন, জেনে নিন।
জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে ভারত বায়োটেক ১ হাজার ১২৫ জন সুস্থ স্বেচ্ছাসেবকের উপর ওই পরীক্ষা করবে। প্রথম পর্বে পরীক্ষা হবে ৩৭৫ জনের উপরে। ওই স্বেচ্ছাসেবকদের প্রথম দিন কোভ্যাক্সিন দেওয়ার পর আবার ১৪ দিনের মাথায় ওই টিকা দেওয়া হবে। তার পর তাঁদের রাখা হবে পর্যবেক্ষণে। দেখা হবে তাঁদের দেহে কোনও ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে কি না।
করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সব খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন
ওই স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে ২৮ দিনে টিকার কী কী প্রভাব পড়ল বা পড়ল না, সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট ড্রাগ কন্ট্রোল অথরিটিকে জানাবে যে ১২টি সংস্থা মানবদেহে কোভ্যাক্সিন প্রয়োগের ছাড়পত্র পেয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকলে দ্বিতীয় পর্বে টিকা প্রয়োগ শুরু হবে।
প্রথম দেশীয় প্রতিষেধকের ক্লিনিক্যাল প্রয়োগের জন্য দিল্লির এমস ছাড়া ওড়িশার এসইউএম, বিশাখাপত্তনমের কিং জর্জ কলেজ, রোহতকের পিজিআইএমএসের মতো প্রায় ১২টি সংস্থাকে বেছেছে আইসিএমআর।
প্রথম পর্ব ঠিকঠাক থাকলে দ্বিতীয় পর্বে ৭৫০ জন স্বেচ্ছাসেবককে একই ভাবে প্রথম এবং তার ১৪ দিনের মাথায় আবারও টিকা দেওয়া হবে। এই পর্বেই দেখা হবে, টিকা প্রয়োগে স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কি না। যদি হয়, তা হলে বুঝতে হবে টিকার প্রয়োগ সফল।
আগামী ৭ জুলাইয়ের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবকদের উপর ওই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হবে। মানবদেহে পরীক্ষা শেষ করে, তার ভালমন্দ বিচার করে ১৫ অগস্টের মধ্যে বাজারে প্রতিষেধক ছাড়তে হবে ভারত বায়োটেককে। এমনটাই জানা গিয়েছে।
তবে, সুস্থ হওয়া করোনা রোগী বা করোনা রোগীর সঙ্গে এক বাড়িতে থাকা কেউ স্বেচ্ছাসেবক হতে পারবেন না। শরীরে রক্তের উপাদানে ভারসাম্যের অভাব, কোনও জটিল অসুখ, ক্যানসারের ইতিহাস থাকা বা অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের ক্ষেত্রেও স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ রয়েছে।
হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (বিবিআইএল)-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে ওই প্রতিষেধক বাজারে আনছে আইসিএমআর। অনেকেই মনে করছেন, ১৫ অগস্টের আগে যদি করোনার টিকা কোভ্যাক্সিন বাজারে আসে, তা হলে ভারতই প্রথম করোনার টিকা আবিষ্কারের স্বীকৃতি পাবে।
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)