কাশি নিয়ে ভুগছেন বেশ কিছু দিন, তা হলে নিতে হবে ডাক্তারের পরামর্শ

কাশি

কাশি নিয়ে ভুগছেন বেশ কিছু দিন ধরে— এমন অনেকেই আছেন। কেউ দীর্ঘ দিন ধরে ভুগছেন কাশিতে। কেউ আবার একটু অনিয়ম হলেই কাশিতে ভোগেন। কারও আবার কাশি হয় খুসখুস করে। কেউ আবার কাশেন দীর্ঘ ক্ষণ ধরে। বিভিন্ন ধরনের কাশি-ই দেখতে পাওয়া যায়। কারও আবার কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্ট হয়। অনেক ক্ষেত্রে রক্তও উঠতে দেখা গিয়েছে। সেই সঙ্গে অনেকের হালকা জ্বর আসে। এই পরিস্থিতিতে কী করবেন জানাচ্ছেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যপ্রশিক্ষক ধ্রুবজ্যোতি লাহিড়ী


নানা ধরনের এই কাশির সমস্যায় কখন আপনাকে ডাক্তার দেখাতে হবে? কাশতে কাশতে অনেক সময় গলা বন্ধ হয়ে আসে। অনেক কাশির ক্ষেত্রে হালকা শ্বাসকষ্টও হয়। কাশতে কাশতে হালকা রক্ত উঠে আসে। এই তিন ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। খেয়াল রাখবেন, কাশলে খুব শক্ত আঠালো শ্লেষ্মা বার হচ্ছে কি? এর সঙ্গে রাতে প্রচুর ঘাম হতে পারে। আসতে পারে হালকা জ্বরও। দ্রুত হারে ওজন কমে যাওয়া আপনাকে রোগের দিশা দেখাতে পারে। খুব জোরে কথা বলতে পারছেন না বা কথা বলতে বলতে কাশি বা কষ্ট হচ্ছে— অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

কাশির সঙ্গে সবুজ বা হলুদ রঙের শ্লেষ্মা উঠলে সতর্ক হতে হবে। কাশির (Wheezing) আওয়াজ থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এক্সরে করতে হবে।

আমরা চিকিৎসকেরা প্রায়শই দেখি, ভাইরাল ইনফেকশন হলে নাক-গলা সংক্রমিত হয়। তখন কাশি-সর্দি এবং দুর্বলতা থাকে। অ্যাস্থমা রোগীর ক্ষেত্রে ফুসফুস ইনফ্লাম থাকে। বুকে চাপ বোধ থাকে। সাধারণ সর্দি কাশির ক্ষেত্রে নাক দিয়ে জল পড়া নাক আটকে যাওয়া লক্ষণ থাকে। আবার কিছু ক্ষেত্রে ভাইরাল ইনফেকশনের জন্য আপার রেসপিরেটরি ট্রাক্ট ব্লক হয়ে গেলে বারকিং কাশি দেখা যায়। পস্ট নাসাল ড্রিপের ক্ষেত্রে গলা কনজেশন হয়ে কাশি দেখা যায়। কিছু দূরারোগ্য রোগের ক্ষেত্রেও কাশি একটা বড় লক্ষণ। যেমন— ফুসফুসের ক্যানসার, যক্ষ্মা, করোনা।

বর্তমানে অ্যালার্জি থেকে কাশি হয়। যা কারও কারও ক্ষেত্রে মারাত্মক আকার ধারণ করে। এই সকল রোগীদেরকে অবশ্যই ধুলোবালি, ধোঁয়া থেকে দূরে থাকতে হয়। কাশির রোগীদের অবশ্যই বিশ্রামে থাকতে হবে এবং নুন জল গরম গার্গল করবেন। কখনওই ফ্রিজের ঠান্ডা জল বা খাবার খাওয়া উচিত হবে না। সিগারেট খাবেন না। অতিরিক্ত দূষণযুক্ত জায়গায় মাস্ক ব্যবহার করুন। কাশি হলে খুব সাবধানে থাকবেন। আপনার থেকে পরিজনদের মধ্যে ড্রপলেট ইনফেকশনের মাধ্যমে রোগ ছড়াতে পারে। তাই কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখুন।

বাড়িতে পশুপাখি থাকলে তাদের লোম থেকে দূরে থাকবেন। শুকনোকাশি, পুরনো ভেজাকাশি, ট্রেসকাশি, বার্কিংকাশি, হুপিংকাশি ইত্যাদি দেখা যায়। বিভিন্ন ধরনের হয় তার রূপ, উপসর্গ ও তার চিকিৎসা চিকিৎসকের উপরে ছাড়া ভাল। কোনও ওষুধ প্রয়োজন হবে কি না বা কোনও কাশির সিরাপ খাবেন কি না তা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।

কিছু ক্ষেত্রে স্টিম ইনহালেশন গলার পক্ষে খুবই উপযোগী। বর্তমানে কোভিড রোগীদের ক্ষেত্রে কাশি বা শ্বাসকষ্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। সে জন্য অবশ্যই বর্তমান পরিস্থিতিতে ভীত বা আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বুকের এক্সরে, রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে বুকের সিটি স্ক্যান করা হয়।

(এই বিষয়ে আরও তথ্য পেতে নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)