নিষিদ্ধ ওষুধ: মাথাব্যথায় আর খাওয়া যাবে না স্যারিডন, আরও ৩২৮টি ওষুধ বাতিল

নিষিদ্ধ ওষুধ

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: নিষিদ্ধ ওষুধ অনেক আছে। সেই তালিকায় এ বার ঢুকে পড়ল মাথা ব্যথার জন্য বহুল ব্যবহৃত ওষুধ স্যারিডন। শুধু স্যারিডনই নয়, চর্মরোগের জন্য ব্যবহৃত প্যানডার্মের নামও ওই তালিকায় রয়েছে। এই দুয়ের মতো এমনই ৩২৮টি ওষুধকে বৃহস্পতিবার নিষিদ্ধ করে দিল কেন্দ্রীয় সরকারের ড্রাগ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি বোর্ড।

কিন্তু নিষিদ্ধ ওষুধ হিসাবে এগুলোকে বাতিল করার কারণ কী? ওই বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, যন্ত্রণা কমানো, কাশি এবং ফ্লুর বেশ কিছু ওষুধ ফিক্সড ডোজ কম্পোজিশন-এর ভিতরে পড়ে। অর্থাৎ ওই ওষুধগুলি দুই বা তিন ধরনের ওষুধকে একটা নির্দিষ্ট অনুপাতে মিশিয়ে তৈরি করা হয়। ধরা যাক কারও শুধু মাথা যন্ত্রণা হচ্ছে। সেই সময় যদি ওই ফিক্সড ডোজ কম্পোজিশনের ওষুধ কেউ খান, তা হলে অতিরিক্ত একাধিক ওষুধও তিনি খাচ্ছেন। যেটা সেই সময়ে তাঁর শরীরের প্রয়োজন ছিল না। দীর্ঘ দিন ধরে এমন ওষুধ ব্যবহার করলে তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ২০১৬-র মার্চ মাসে এই ধরনের ফিক্সড ডোজ কম্পোজিশন ওষুধগুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু, তখন এ বিষয়ে আপত্তি তোলে ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি। যদিও তাদের আপত্তিকে সরিয়ে দিয়ে এ দিন কেন্দ্রীয় সরকার তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিল।

ভারতে প্রায় ২ হাজার ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশনের ওষুধ পাওয়া যায়। আমেরিকায় পাওয়া যায় মাত্র ৫০০টি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক কর্তা জানিয়েছেন, কোয়াক বা ওষুধের দোকানদাররা অনেক সময় বুঝতে পারেন না রোগীদের ঠিক কী অসুখ হয়েছে। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ না করে অনেক সময়েই তাঁরা ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশনের ওষুধ  রোগীদের দেন। সেটা রোগীর উপকারের বদলে ক্ষতিই বেশি করে। এমন ঘটনা আটকাতেই কেন্দ্রীয় সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ডায়াবেটিস রোগ নিরাময়ে প্রয়োজন একজন শিক্ষকের, শিক্ষক দিবসেই শুরু হয়ে গেল সেই যাত্রা

সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানিকে বাজার থেকে অন্তত ৬ হাজার ব্র্যান্ডের ওষুধ তুলে নিতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা। বছর দুয়েক আগে যখন কেন্দ্রীয় সরকার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি। তখনই তৈরি হয় একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি। সেই কমিটিও এই ধরনের ওষুধগুলি নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পক্ষে সায় দেয়। তার পর ওই ওষুধগুলিকে নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের আর কোনও বাধা ছিল না। এ দিন সেই ঘোষণাই করা হয়েছে।