মামামোমো ফিরিয়ে দিতে পারে পাহাড়ি স্বাদ

মামামোমোমামামোমো

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: মামামোমো, নামটাই অদ্ভুত! শহরে যেই না গরম পড়ল ওমনি মনটা উড়ু উড়ু৷ পাহাড় টানতে শুরু করে৷ পাহাড়ি রাস্তা, পাহাড়ি মানুষ আর পাহাড়ি খাওয়ার কথা মাথায় আসতেই যেন এই শহর ছেড়ে পালাই পালাই অবস্থা হয়৷ কিন্তু উপায় নেই৷ অফিসে ছুটি নেই, ছেলে-মেয়ের স্কুল খোলা৷ বরের ইয়ার এন্ডিংয়ের কথা ভাবতে ভাবতেই সেই ইচ্ছেয় মরচে পড়ে যায়৷

কিন্তু হাতের কাছেই যদি পাওয়া যায় এক টুকরো দর্জিলিং৷ তাতে পাহাড়ে সূর্যোদয় নাই বা দেখা হল, নাই বা হাঁটা হল ম্যালের রাস্তায়, নাই বা কেনা হল ভুটিয়া মার্কেটের নানান পসরা৷ কিন্তু রসনা তৃপ্তি তো হতেই পারে৷ এই শহরে বসেই দার্জিলিংয়ের স্বাদ পেতে কিন্তু আপনার জন্য তৈরি হয়ে গিয়েছে ‘মামামোমো’৷ নাম শুনেই মনে হচ্ছে তো কেমন একটা পাহাড়ি পাহাড়ি আবেশ৷ একদম ঠিক ধরেছেন৷ টিবেটিয়ান এবং নেপালি কুইজিনের সম্ভার নিয়ে এই কলকাতার বুকে হাঁটতে শুরু করেছে ‘মামামোমো’৷

এই রেস্তোরার মালিকদের নাম শুনলে আপনার জিভে জল আসতে বাধ্য৷ তাহলে শুনুন, তাশি দেন্দাপ কিদওয়াই, শৈলেশ সারদা, বনিশা শর্মা৷ তিনে মিলে দক্ষিণ কলকাতার বুকে খুলে ফেলেছেন এই রেস্তোরা৷ যেখানে শুধুই পাওয়া যাবে আপনার প্রিয় দার্জিলিংয়ের ফ্লেভার৷ কিন্তু এর নাম মামামোমো কেন হল তার পিছনেও রয়েছে একটা গল্প৷ আসলে মামামোমোর মামা মানে মাম্মা (মা)৷ তাশি দেন্দাপের মাম পেম্মা  দোমা কিদওয়াইকে মনে রেখেই এমন নাম৷ তাঁর রেসিপি নিয়েই এই রেস্তোরা৷

জল পানেরও নিয়ম আছে না মানলেই অস্বাস্থ্যকর

সেখানে রয়েছে নানান ধরনের মোমো৷ চিকেন, পর্ক ভেজ সব মোমোই স্টিমড৷ মানে স্বাস্থ্যকর৷ তার মানে রসনা তৃপ্তির জন্য ফ্রায়েড থাকবে না তেমন নয়৷ প্যানফ্রায়েড মোমোও পাবেন৷ আর একটু স্পাইসি খেতে হলে চিলি মোমোও হাজির করবেন তাঁরা৷ কিন্তু আসল দার্জিলিংয়ের ফ্লেভার কিন্তু স্টিমড মোমোতেই৷ ভাবচেন আর কী আছে৷ পাহাড়ে গেলে আর কী খান মোমো ছাড়া একবার ভাবুন৷ থুকপার কথা মনে পড়ছে নিশ্চয়৷ তাও পাবেন মামামোমোর হেশেলে৷ থুকপা এখানকার স্পেশাল৷ বিভিন্ন ধরনের থুকপাও পাবেন৷ পাহাড়ি স্পেশাল পর্ক, আহা ভেবেই জিভে জল এসে যায়, সেই চিলি পর্ক বা চিলি চিকেনের সঙ্গে রাইস অথবা নুডলসের কম্বোও কিন্তু অপেক্ষা করছে আপনার জন্য৷

মামামোমো

মামামোমো

আরও একটা ভাল খবর হল, এখানে আপনি নিশ্চিন্তে খেতে পারেন সস অন্য রেস্তোয়ায় যেমন সস খাওয়ার আগে ভাবেন এখানে ভাবতে হবে না৷ কারণ এখানে সসও হোম মেড৷ পাহাড়ে যখন যান তখন নিশ্চই ডাল্লের নাম শুনেছেন৷ সেই ভয়ঙ্কর ঝাল লঙ্কা৷ সেই ডাল্লে দিয়েই এখানে তৈরি হয় চিলি সস৷

নিশ্চই ভাবছেন, এত কিছু বলছি কিন্তু আসলটাই নেই৷ কোথায় পাবেন মামামোমো-র হদিশ৷ এই  রেস্তোরার ঠিকানা গোলপার্ক৷ দুপুর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকে মামামোমো৷ আর একটা খবর শুনলে তো আজই ঝাপিয়ে পড়বেন, সেটা হল দাম৷ অথেন্টিক টিবেটিয়ান-নেপালি কুইজি যদি দু’জনের জন্য পাওয়া যায় মাত্র ৩০০ টাকায় তা হলে আর অপেক্ষা কিসের৷ এখুনি বেরিয়ে পড়ুন৷ আমি চললাম সেই পথেই৷ দার্জিলিং টানছে যে৷