বিনোদন থেকে রাজনীতি, রাজ-সায়নী জিতে নিলেন নেত্রীর মন

বিনোদন থেকে রাজনীতি

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: বিনোদন থেকে রাজনীতি, জিতে নিলেন গুরু দায়িত্ব। দু’জনেই এক দিনে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। দু’জনেই টিকিট পেয়েছিলেন বিধানসভা নির্বাচনে। এক জন জিতলেও অন্য জন হেরে গিয়েছিলেন। এ বার দু’জনকেই একই সঙ্গে দলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ চক্রবর্তী এবং সায়নী ঘোষ। প্রথম জনকে তৃণমূলের সাংস্কৃতিক সেলের প্রধান করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় জনকে দেওয়া হয়েছে দলের যুব শাখার সভাপতির পদ। দায়িত্ব এবং পদ পেয়ে দু’জনেই যারপরনাই খুশি।

২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১। হুগলির ডানলপ মাঠে সভা ছিল তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই সভায় মমতার উপস্থিতিতে তাঁর হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে দলে যোগ দেন চিত্রপরিচালক রাজ চক্রবর্তী এবং অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। তার পরেই দু’জনে বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট দেন মমতা। রাজকে দেন উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে। সায়নীকে তিনি ভোটে লড়তে পাঠান পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রে। রাজ ব্যারাকপুরে বিজেপি প্রার্থী চন্দ্রমণি শুক্লাকে হারিয়ে বিধানসভায় যেতে পারলেও সায়নী হেরে যান বিজেপির অগ্নিমিত্রা পালের কাছে। সায়নী যদিও ভোটে হেরে দমে য়াননি। বরং দলের হয়ে বারে বারে ছুটে গিয়েছেন আসানসোল দক্ষিণে। কোভিড পরিস্থিতিতে সেখানকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তারই পুরস্কার তিনি শনিবার পেয়েছেন।

সায়নী যদিও তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আগে প্রত্যক্ষ ভাবে কোনও রাজনীতি করতেন না। তবে বিভিন্ন বিষয়ে মন্তব্যে এবং একটি সিনেমাকে আটকে দেওয়ার বিরুদ্ধে তৃণমূল সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেওয়ার ঘটনায় সায়নী নিজেকে যে অবস্থানে রেখেছিলেন, তাতে অনেকের ধারণা তিনি বামপন্থী রাজনীতিতেই বিশ্বাসী ছিলেন। সায়নী যদিও সে সব কথাকে পাত্তা দিতে এখন আর নারাজ।

তাঁর মতে, তিনি কোনও দিনই কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মী ছিলেন না। বরং নতুন দায়িত্ব পেয়ে নিজেকে প্রমাণ করবেন। শনিবার তিনি যে দায়িত্ব পেয়েছেন, সেই পদে তাঁর আগে ছিলেন তৃণমূলে অঘোষিত দু’নম্বর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এটা তাঁর দায়িত্ব পালেনর ক্ষেত্রে বাড়তি চাপ তো বটেই।

অন্য দিকে, রাজ চক্রবর্তী দীর্ঘ দিনই তৃণমূল ঘনিষ্ঠ। বিভিন্ন বিষয়ে তাঁকে শাসকদলের পাশে থাকতেই দেখা গিয়েছে। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের দায়িত্বও দিয়েছিলেন। ২০১৯ এবং ২০২০— দু’বছরই তিনি বেশ সাফল্যের সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৯ সালে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন রাজ। তার আগে ওই পদে ছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।

২০২০ সালে করোনা অতিমারি আবহেও সংক্ষিপ্ত এবং মূলত ভার্চুয়াল ফিল্মোৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেও প্রধান সংগঠকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল রাজকেই। রাজকে বিধায়ক পদে টিকিট দিয়ে তার পুরস্কার আগেই দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ব্যারাকপুরের মতো আসনে জিতে আসার জন্য বাড়তি হিসেবে এ বার তাঁকে তৃণমূলের সাংস্কৃতিক সেলের প্রধান পদের মুকুটটাও দিয়ে দিল তৃণমূল।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)